ডিম বিক্রি করে দৈনিক ১০০ টাকা আয় করতেন বাবা! JEE IIT-তে সফল হয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিলেন ছেলে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: IIT (Indian Institute of Technology)-তে পড়ার স্বপ্ন প্রায় প্রত্যেক পড়ুয়াই দেখেন। পাশাপাশি, অনেকেই সঠিক পরিশ্রমের মাধ্যমে তাঁদের এই স্বপ্ন পূরণও করে ফেলেন। তবে, কিছুজন আবার এই লক্ষ্য হাসিল করলেও তাঁদের এই সফলতার পথ খুব একটা মসৃণ থাকে না। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকম এক লড়াকু পড়ুয়ার প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব। যিনি সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজের লক্ষ্য পূরণের প্রতি অবিচল ছিলেন। আর তার ওপর ভর করেই তিনি রচনা করেছেন এক অনন্য সফলতার কাহিনি (Success Story)।

মূলত, আজ আমরা আপনাদের কাছে বিহার শরীফের (Bihar Sharif) বাসিন্দা আরবাজ আলমের বিষয়ে জানাবো। যিনি প্রমাণ করেছেন যে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিজের স্বপ্ন পূরণের জেদ বজায় রাখলে ঠিক তা পূরণ করা সম্ভব। আর এই জেদের ওপর ভর করেই তিনি পাশ করে যান JEE IIT-র মতো কঠিন পরীক্ষা।

Success Story Of Arbaaz Alam

বাবা রাস্তার ধারে ডিম বিক্রি করতেন: আরবাজের এই সফলতার রাস্তাটি কিন্তু খুব কঠিন ছিল। তাঁর বাবা রাস্তার ধারে ডিম বিক্রি করতেন। কোনোমতে দৈনিক ১০০ টাকা রোজগার করতেন তিনি। সেই আয়কে সম্বল করেই পুরো সংসার চলত। এদিকে, আরবাজের স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু পরীক্ষার জন্য পড়ার মতো বই কেনার মতো সামর্থ্যও তাঁর পরিবারের ছিল না।

আরও পড়ুন: হামাসের ২৫ জন সন্ত্রাসবাদীকে করেছেন খতম! এই ইজরায়েলি যুবতীর পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন

বই ধার করে চলত পড়াশোনা: আরবাজ তাঁর পরিবারকে দারিদ্রতার কবল থেকে মুক্ত করতে চাইতেন। এমতাবস্থায়, তিনি ভারতের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা JEE অ্যাডভান্সড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য তিনি দিনরাত পরিশ্রম করতেন। শুধু তাই নয়, বই ধার করেই সারারাত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেন তিনি। পাশাপাশি, আরবাজ বিহারের সেলিব্রিটি শিক্ষক আনন্দ কুমারের সান্নিধ্যও লাভ করেন। তিনি আরবাজকে তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যাচে ভর্তি করে তাঁকে বিনামূল্যে পড়াশোনার পাশাপাশি আরবাজের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করেন। আর এইভাবেই আরবাজ ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছিলেন সফলতার দিকে।

আরও পড়ুন: মোবাইলের সিম কার্ডে কেন কাটা থাকে একটি কোণ? কারণ জানলে চমকে উঠবেন

হয়েছেন সফল: আরবাজ তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ওপর ভর করে পরীক্ষায় ৬৭ তম স্থান অর্জন করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে JEE দিয়েছিলেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আনন্দ কুমারের সুপার ৩০-র যে ব্যাচটিতে আরবাজ ছিলেন, সেখানে সবাই চমৎকার নম্বর নিয়ে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর