করতেন মডেলিং, মিস ইন্ডিয়া হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে বেছে নেন UPSC-কে, চতুর্থবারে সফল হয়ে IAS হলেন তাসকিন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: UPSC (Union Public Service Commission) দ্বারা পরিচালিত সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষাকে (CSE) দেশের কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে বিবেচিত করা হয়। শুধু তাই নয়, এই পরীক্ষায় প্রতিবছর কয়েক হাজার প্রার্থী দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে অংশগ্রহণ করলেও তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনই সফলতা হাসিল করতে পারেন। এমতাবস্থায় বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি মিস ইন্ডিয়া হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সফলতা লাভ করেছেন। তাঁর এই সফলতার কাহিনি (Success Story) উদ্বুদ্ধ করবে বাকিদেরকেও।

মূলত, আজ আমরা আপনাদের কাছে তাসকিন খানের প্রসঙ্গে জানাবো। যিনি প্রাক্তন মিস দেরাদুন এবং মিস উত্তরাখণ্ড হয়েছেন। তাসকিন খানের এই সফলতার কাহিনি তাঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে যাঁরা নিজেদের যোগ্যতার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কারণ, তাসকিন সর্বদা এটা বিশ্বাস করেন যে, আপনি যদি একটি লক্ষ্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন সেক্ষেত্রে আপনি সেটি একদিন ঠিক অর্জন করবেন।

Success Story Of IAS Taskeen Khan

মিস ইন্ডিয়ার স্বপ্ন ছেড়ে UPSC পরীক্ষায় পাশ করেন: জানিয়ে রাখি যে, তাসকিন খান একজন মডেল ছিলেন। যিনি মিস ইন্ডিয়া হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দেন UPSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তার বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার্স রয়েছেন এবং তিনি তাঁর মিমিক্রি স্কিলের জন্যও বিখ্যাত।

আরও পড়ুন: ১৬০ কিমি বেগে ছুটছে বন্দে ভারত! আচমকাই লাল হল সিগন্যাল, তারপরে যা ঘটল….

চতুর্থবারে সাফল্য পেয়েছেন তাসকিন: IAS হওয়ার জন্য UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় তাসকিন প্রথম তিনবারে ব্যর্থ হন। কিন্তু, তিনবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও, তিনি হাল ছাড়েননি। বরং, আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে তিনি চতুর্থবার UPSC পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর চতুর্থবারেই আসে সাফল্য। ওই পরীক্ষায় তাঁর র‍্যাঙ্ক ছিল ৭৩৬।

আরও পড়ুন: WhatsApp-কে টেক্কা! ঝড় তুলতে আসছে দেশীয় মেসেজিং অ্যাপ Samvad, গ্রিন সিগন্যাল দিল DRDO

এইভাবে মেলে সফলতা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, তাসকিন স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর মডেলিংয়ে কেরিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি ওই স্বপ্ন ত্যাগ করে সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে UPSC পরীক্ষার পথ বেছে নেন। পড়াশোনায় তিনি খুব একটা “স্মার্ট” ছিলেন না। কিন্তু তাসকিন এটা জানতেন যে, সঠিক প্রস্তুতি নিলে ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারবেন। এমতাবস্থায়, তিনি তাঁর সমস্ত সময় UPSC-র প্রস্তুতিতে ব্যয় করেন এবং কঠোর পরিশ্রমের ভিত্তিতে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, তিনি অ্যাকাডেমিকভাবে সেরা ছাত্রী নন, তবে তিনি খেলাধূলায় সর্বদা এগিয়ে ছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর