বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের যুবসমাজের একটা বড় অংশ বিভিন্ন স্টার্টআপ (Startup) শুরু করার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। মূলত, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং চাহিদার ভিত্তিতে এই স্টার্টআপগুলি শুরু করার মাধ্যমে অনেকেই পাচ্ছেন সফলতাও। পাশাপাশি, সফল তরুণ উদ্যোক্তারা বাকিদের অনুপ্রাণিতও করছেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা দেশের জনপ্রিয় UPI পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম কোম্পানি Phonepe-র প্রতিষ্ঠাতাদের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। কারণ, তাঁদের উত্তরণের কাহিনি জানলে অবাক হবেন যে কেউই।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকেই মানুষ Phonepe ব্যবহার করেন। কিন্তু, আপনি জেনে অবাক হবেন ৯৯,০০০ কোটি টাকা মূল্যের এই সংস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন Flipkart-এর ৩ প্রাক্তন কর্মী। মূলত, ২০১৫ সালে সমীর নিগম, রাহুল চারি এবং বুর্জিন ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা শুরু হয়েছিল PhonePe। এই প্ল্যাটফর্ম মোবাইল রিচার্জ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরণের পেমেন্ট সলিউশন প্রদান করে। পাশাপাশি, Paytm-কে সরাসরি প্রতিযোগিতা দিতে কোম্পানিটি এখন ডিজিটাল ঋণ দেওয়ার জন্য একটি পাইলট প্রকল্পও শুরু করেছে।
এদিকে, PhonePe প্রতিষ্ঠার আগে সমীর নিগম ফ্লিপকার্টের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও, সমীর Shopzilla নামে একটি সংস্থায় প্রোডাক্ট ডাইরেক্টর হিসেবেও কাজ করেন। পাশাপাশি, তিনি Mime360 নামে একটি কোম্পানিতেও কাজ করেছেন। ২০১১ সালে, এই সংস্থাটি Flipkart অধিগ্রহণ করে। এই অধিগ্রহণের পরেই সমীর Flipkart-এ আসেন। তিনি দ্য ওয়ার্টন স্কুল থেকে এমবিএ করেছেন। এছাড়াও সমীর অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাহুল চারি: PhonePe-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলেন রাহুল চারি। তিনি বর্তমানে PhonePe-র চিফ টেকনোলজি অফিসারের পদে আসীন রয়েছেন। PhonePe-র আকাশছোঁয়া সাফল্যের পেছনে রাহুলের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। PhonePe লঞ্চের আগে চারি Flipkart-এ কাজ করেছেন। তিনি Flipkart-এর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এদিকে, Flipkart-এর আগে, চারিও Mime360-এ কাজ করতেন। Flipkart এই সংস্থাটি অধিগ্রহণের সাথে সাথে তিনিও Flipkart-এ যুক্ত হন। রাহুল চারি বোম্বে ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং করার পর আমেরিকার প্রুড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ডিজিটাল ঋণদানে পা রাখবে PhonePe: এই প্রসঙ্গে সংস্থার CEO সমীর নিগম জানান যে, কোম্পানি ডিজিটাল ঋণ দেওয়ার জন্য একটি পাইলট প্রকল্পে কাজ শুরু করেছে। এই ক্ষেত্রে, বিজয় শেখর শর্মার Paytm-এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে PhonePe। সংস্থাটি শীঘ্রই NBFC-র লাইসেন্সের জন্যও আবেদন করবে বলে জানা গিয়েছে।
৯৯,০০০ কোটি টাকার ভ্যালুয়েশন: PhonePe চলতি বছর ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং পেয়েছে। কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি, মাইক্রোসফ্ট, টেনসেন্ট এবং টাইগার গ্লোবাল এই ফান্ডিং রাউন্ডে অংশ নিয়েছিল এবং PhonePe-র ৯৯,০০০ কোটি টাকার ভ্যালুয়েশনের ভিত্তিতে এই ফান্ডিং করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, কোম্পানির সিইও সমীর নিগম জানিয়েছেন যে কোম্পানিটি লাভ হাসিল করলেই তাঁরা আইপিও আনার কথা ভাববেন।