বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রত্যেক সফল (Success) মানুষের সফলতার পেছনে থাকে এক হার না মানা লড়াইয়ের কাহিনি (Success Story)। লড়াইয়ের ওপর ভর করেই তাঁরা হাসিল করে ফেলেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। তবে, কিছু কিছুজন থাকেন যাঁদের এই লড়াই হয়ে যায় আরও কঠিন। কারণ, তাঁরা শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেই অবতীর্ণ হন লড়াইয়ের ময়দানে। মনের জোরের ওপর ভরসা রেখে এবং নিজের প্রতি বিশ্বাসের পূর্ণ মর্যাদায় তাঁরা তৈরি করেন এক অনবদ্য সফলতার উপাখ্যান। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা ঠিক সেইরকমই এক লড়াকু মহিলার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব।
মূলত, তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মাদুরাইয়ের (Madurai) বাসিন্দা পূর্ণা সানথেরি মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। তবে, দৃষ্টিশক্তি চলে গেলেও মনের জোর হারাননি তিনি। বরং, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন IAS হওয়ার। আর সেই স্বপ্ন তিনি পূরণও করেছেন। এইভাবেই তিনি সবার কাছে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার উৎস।
২০১৯ সালে UPSC পরীক্ষায় ২৮৬ তম স্থান অর্জন করেন:
উল্লেখ্য যে, পূর্ণার জন্ম হিয়েছিল একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর বাবা একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সেলস এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করে সংসারের খরচ চালাতেন। মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র ৫ বছর বয়সেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন পূর্ণা।
পাঁচ বছর বয়সে হারিয়ে যায় দৃষ্টিশক্তি:
যখন পূর্ণা পাঁচ বছর বয়সে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন, তখন তাঁর বাবা মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করেন। কিন্তু পূর্ণা ঠিক করেছিলেন যে, তিনি তাঁর বাবাকে গর্বিত করবেন। মাদুরাই পিল্লাইমার সঙ্গম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষালাভের পর, পূর্ণা মাদুরাইয়ের ফাতিমা কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি পান এবং UPSC-র জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন।
IAS হয়ে নিজের ভাগ্য নিজেই লিখেছিলেন পূর্ণা:
উল্লেখ্য যে, পূর্ণা প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর বাবা-মাকে পাশে পেয়েছেন। UPSC-র প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এমন অনেক বার ঘটেছে যখন তিনি স্টাডি মেটিরিয়াল অডিও ফর্ম্যাটে পাননি। এমন পরিস্থিতিতে পূর্ণার বাবা-মা এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে একাধিক বইকে অডিও ফর্ম্যাটে রূপান্তর করার কাজ করেন। শেষ পর্যন্ত, পূর্ণার কঠোর পরিশ্রম কাজে আসে এবং তিনি IAS হয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন।