বাংলা হান্ট ডেস্ক: জীবনে সফল হতে কে না চায়? আর সেই সফলতা (Success) হাসিলের জন্যই প্রয়োজন হয় অদম্য জেদ এবং পরিশ্রম করার মানসিকতা। এগুলির ওপর ভর করেই সফলতার শীর্ষে পৌঁছে গিয়ে সকলের কাছে এক দৃষ্টান্ত তৈরি করে ফেলেন কিছু মানুষ। বর্তমান প্রতিবেদনেও আজ আমরা ঠিক সেইরকমই একজন ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব।
মূলত, ভারতীয় বংশোদ্ভূত বসন্ত নরসিমহন (Vasant Narasimhan) আমেরিকার অন্যতম বড় ফার্মা কোম্পানি Novartis-এর CEO। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নরসিমহন বিশ্বব্যাপী ভারতীয় বংশোদ্ভূত CEO-দের মধ্যে একজন উচ্চ বেতনভুক্ত CEO হিসেবেও বিবেচিত হন। তিনি ২০১৮ সালে সুইস এমএনসি Novartis-এর দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তারপর থেকে ১৮৫ বিলিয়ন ডলারের (১৫,২৯,০০০ কোটি টাকা) মার্কেট ক্যাপযুক্ত এই কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নরসিমহন হেলথকেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথমে একজন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। যদিও, সেখান থেকেই এহেন বড় সংস্থার CEO-র পদে আসীন হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক নরসিমহন বিশ্বব্যাপী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ CEO হিসেবেও বিবেচিত হন।
মূলত, চিকিৎসক থেকে CEO-র পথে অগ্রসর হওয়া নরসিমহন বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানির জন্যও কাজ করেছেন। তিনি হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল থেকে চিকিৎসক হন। এমতাবস্থায়, নরসিমহনের এহেন উত্তরণকে গুগলের CEO সুন্দর পিচাই এবং মাইক্রোসফটের CEO সত্য নাদেলার সাথেও তুলনা করা হয়। এমনকি, তাঁর সাপ্তাহিক আয় হল ১ কোটি টাকারও বেশি।
বসন্ত নরসিমহন কে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বসন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ ও বড় হলেও তাঁর বাবা-মা হলেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কলেজে পড়াকালীন ভারতের শিশু দারিদ্রতা নিয়েও কাজ করেছিলেন। এদিকে, পরবর্তীকালে নরসিমহন স্বাস্থ্য পরিষেবাকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। নরসিমহন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈবিক বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি এবং বিখ্যাত হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে এমডি ও জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট থেকে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবন: নরসিমহন তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ম্যাকেঞ্জি অ্যান্ড কোম্পানি ইনকর্পোরেটেডের সাথে। তিনি ২০০৫ সালে Novartis-এ যোগদান করেন এবং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ফার্মা জায়ান্টে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর পাশাপাশি, তিনি স্যান্ডোজ ইন্টারন্যাশনালেও কাজ করেছেন। Novartis-এর বার্ষিক রিপোর্ট ২০২২ অনুসারে, নরসিমহনের মোট রিলিজড কম্পেনসেশন ছিল ৭৫.৫ কোটি টাকারও বেশি।