বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন না এমন ব্যক্তি রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। যত দিন এগোচ্ছে ততই জনপ্রিয় হচ্ছে নেটমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলি। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে নতুন পেশাও। যেখানে কাজ করার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও (Content Creator) আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হতে পারছেন। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা ঠিক সেইরকমই এক লড়াকু মহিলার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যিনি উত্তরপ্রদেশের গ্রামীণ এলাকা থেকে ইউটিউবে ভিডিও বানানোর মাধ্যমে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে আয়ের দিক থেকে তিনি সরকারি কর্মচারীদেরও ছাড়িয়ে গিয়েছেন।
মূলত আজ আমরা আপনাদের যশোদা লোধির সাথে পরিচয় করাবো। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি “দেহাতি ম্যাডাম” নামেই বেশি পরিচিত। ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তিনি ইংরেজি শেখান। যশোদা কৌশাম্বীর সিরাথুর বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর চ্যানেলের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সংযুক্ত করেছেন। একদম সাধারণ গৃহবধূর বেশে তাঁর ইংরেজি পড়ানোর বিষয়টি ইতিমধ্যেই হয়েছে সুপারহিট।
আর পাঁচ জনের মতই একদম সাধারন ভাবে বেড়ে উঠেছিলেন যশোদা। তিনি তাঁর মামার বাড়িতে থাকতেন। সেখানে যশোদা হিন্দি মাধ্যম স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তারপর স্নাতক হওয়ার পর তিনি শিশুদের পড়াতে শুরু করেন। ওই সময়ে তিনি তাঁর জীবনসঙ্গীর সাক্ষাৎ পান। তবে, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে পরিবারের আপত্তি ছিল। শুধু তাই নয়, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ এবং পারিবারিক কলহেরও সম্মুখীন হন তিনি। তবে, শেষ পর্যন্ত তাঁরা বিবাহের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই স্বাধীনভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথে হাঁটেন।
আরও পড়ুন: চিনের থেকে ঋণ নেওয়াই হল কাল! চরম সঙ্কটে থাকা মলদ্বীপ হতে চলেছে পরবর্তী শ্রীলঙ্কা, সতর্ক করল IMF
২০২১ সালে তৈরি হয় ইউটিউব চ্যানেল: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, যশোদার স্বামী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি পূর্বে দিনমজুরের কাজ করতেন। এদিকে, ২০১৯-এ তিনি একটি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন। যার ফলে তিনি আর কাজ করতে পারেননি। ওই সময়েই যশোদা আর্থিক স্থিতিশীলতার আসল মূল্য উপলব্ধি করেছিলেন। এমতাবস্থায়, যশোদা তাঁর প্রথম স্মার্টফোন দিয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে ইউটিউবের যাত্রা শুরু করেছিলেন। সন্দীপ মহেশ্বরীর মতো বক্তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, তিনি তাঁর পরিবারের উন্নতির জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। এইভাবেই তিনি তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন।
আরও পড়ুন: Paytm পেল বিরাট ধাক্কা! ইস্তফা দিলেন পেমেন্ট ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর, সংস্থা থেকে ভরসা উঠছে গ্রাহকদের
সরকারি কর্মচারীদের থেকে বেশি আয়: যশোদা সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত জনপ্রিয় হতে শুরু করেন। এর অন্যতম কারণ হল, তিনি বিষয়গুলিকে বোঝানোর জন্য অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে ভিডিও তৈরি করেন। একটা সময়ে ছিল, যখন মাত্র ৩০০ টাকায় তাঁকে সাত-আটজনের সংসার চালাতে হত। কিন্তু, তিনি এখন প্ৰতি মাসে ৭০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা আয় করেন। যা অনেক সরকারি কর্মচারীর বেতনের থেকেও অনেকটাই বেশি।