বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাওবাদ বিরোধী অভিযানে (Anti-Maoist campaign) ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। ছত্তিশগড়ের অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম হলেন মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই শীর্ষ নেতা কাট্টা রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে রাজু দাদা এবং কাদারি সত্যনারায়ন রেড্ডি ওরফে কোসা দাদা। দু’জনের মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা করে, অর্থাৎ মোট ৮০ লক্ষ টাকা। এই অভিযানের ফলে মাওবাদী সংগঠন বড় ধাক্কা খেল বলেই মনে করছে পুলিশ প্রশাসন।
কীভাবে শুরু হল অভিযান (Anti-Maoist campaign)?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ সেপ্টেম্বর অবুঝমাঢ় এলাকায় মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায় গোয়েন্দারা। সেই অনুযায়ী ছত্তিশগড় পুলিশের ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DRG) এবং ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (ITBP) যৌথভাবে তল্লাশি অভিযানে (Anti-Maoist campaign) নামে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলার পর মাওবাদীরা মরিয়া হয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পরই খতম হয় রাজু দাদা ও কোসা দাদা।
এনকাউন্টারের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি আইএনএসএএস রাইফেল, একটি বি-জি-এল লঞ্চার, প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক ও অন্য সামগ্রী। রাজু দাদার বয়স ৬৩ এবং কোসা দাদার বয়স ৬৭ বছর। দু’জনেই তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। গত কয়েক দশক ধরে এরা দেশের নানা প্রান্তে বড় বড় মাও অভিযান (Anti-Maoist campaign) পরিচালনা করেছে।
শাহের প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
এই সফল অভিযানের (Anti-Maoist campaign) প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী মাওবাদের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। দুই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যাদের মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা করে, তারা খতম হয়েছে। আমাদের বাহিনী লাল সন্ত্রাসের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে।” একইভাবে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীও নিরাপত্তাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছত্তিশগড়ে মাওবিরোধী অভিযান (Anti-Maoist campaign) জোরদার হয়েছে। ২০২৪ সালে বস্তার অঞ্চলে মৃত্যু হয়েছে ২৮৭ জন মাওবাদীর, গ্রেপ্তার হয়েছে হাজারেরও বেশি এবং আত্মসমর্পণ করেছেন ৮৩৭ জন। ২০২৫ সালেও সেই ধারা অব্যাহত। গত ৯ মাসেই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২১০ জন মাওবাদী, যার মধ্যে ১৩ জন শীর্ষ নেতা। তাঁদের মাথার দাম ছিল ২০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে। মাওবাদ বিরোধী অভিযানের এই সাফল্যে নিরাপত্তাবাহিনী যেমন উৎসাহিত, তেমনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দাবি, মাওবাদীদের দিন শেষের পথে।