বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৩০ বছর পর ইসলামিক কট্টরপন্থী শাসনের পর সুদান (Sudan) নিজেদের আইন আর নীতিতে সংশোধন করেছে। আর এরফলে সবথেকে বেশি উপকৃত হলেন ওই দেশের মহিলারা। এবার সুদান সরকার মহিলাদের খৎনায় (Genital Mutilation) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর সাথে সাথে অ-মুসলিমদের দেশের মধ্যে সুরা পান করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে দিই, সুদান সেসব দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছিল, যেখানে প্রচুর পরিমাণে মহিলাদের খৎনা করানো হত। সুদানের আইন মন্ত্রী নসরেদিন আবদুলবারি (Nasredeen Abdulbari) বলেন, সুদান সরকার এবার এইসব আইন নিষিদ্ধ করার জন্য তৎপর হয়েছে।
Sudan to ban FGM and allow non-Muslims to drink alcohol in shift from hardline Islamist rule https://t.co/MY8M1oBeLU
— The Independent (@Independent) July 13, 2020
আবদুলবারি বলেন, আমরা এরকম কোন আইন দেশে থাকতে দেবো না যেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। এরজন্য মহিলাদের খৎনা এবার নিষিদ্ধ করা হল। এর সাথে সাথে দেশের অ-মুসলিমরা নিজেদের মতো করে মদ পান করতে পারবে। সুদানের জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ অমুসলিম। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জাফর নিমীরী ১৯৮৩ সালে ইসলামিক আইন লাগু করার পর দেশে মদে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত বছরে রাষ্ট্রপতিকে সরকার থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়।
এরপর নতুন সরকার জানায় যে, আমরা নতুন সুদান গড়ে তুলব। যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সমস্ত আইন নিষিদ্ধ করা হবে। বিদ্রোহীদের সাথে শান্তি স্থাপনা করা হবে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কট্টর ইসলামিক আইনের সমর্থক ছিলেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্স অনুযায়ী, আইন অন্ত্রি আবদুলবারি এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে অমুসলিমরা যদি দেশে মদ পান করে, সেটিকে অপরাধ হিসেবে ধরা হবেনা। কিন্তু মুসলিমদের জন্য মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা আগের মতই জারি থাকবে। যদি কোন মুসলিম মদ্যপান করতে ধরা পড়ে, তাহলে তাঁকে ইসলামিক আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।
Sudan's new reformist government is showing it's the real thing:
>repealing the apostasy law.
>ending public flogging.
>banning female genital mutilation.
>no longer requiring women to obtain a male relative's permission to travel with their children. https://t.co/tTzZKp7rPp pic.twitter.com/KDF0xVtu9Z— Kenneth Roth (@KenRoth) July 13, 2020
আবদুলবারি এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মহিলাদের এখন বাচ্চাদের সাথে যাত্রা করার জন্য পুরুষদের কাছ থেকে আর অনুমতি নিতে হবেনা। সুদানে ধর্ম ত্যাগ করাও অপারাধ মানা হবে না। এর আগে ইসলাম ত্যাগ করলে মৃত্যুর সাজার নিয়ম ছিল।