বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেলা ১১:২০। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তখন তুমুল ব্যস্ততা। আচমকাই নেমে আসে অন্ধকার! মাঝপথে আটকে যায় বেশ কয়েকটি লিফট। সেখানে আটকে পড়েন একাধিক মানুষ। নানান এজলাসে বিভিন্ন মামলার শুনানি বেশ কিছুক্ষণের জন্য আটকে যায়। আচমকাই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় কার্যত শোরগোল পড়ে যায় আদালতে।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নজিরবিহীন ঘটনা!
জানা যাচ্ছে, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের মূল ভবনের পাশে সেন্টেনারি এবং সেসকুই সেন্টেনারি ভবন সকাল ১১:২০ নাগাদ হঠাৎ অন্ধকারে ডুবে যায়। ব্যস্ততার সময় লোডশেডিংয়ের (Loadshedding) ঘটনা ঘটায় আটকে যায় বহু কাজ। তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে বিদ্যুৎ কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, সকাল ১১:২০ নাগাদ লোডশেডিং হওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ পরিস্থিতি তেমনই ছিল। প্রায় মিনিট সাতেকের চেষ্টার পর ফের স্বাভাবিক হয় সব কিছু। ফের চলতে শুরু করে লিফট। কারেন্ট আসার পর পুনরায় শুরু হয় আদালতের কাজকর্ম।
আরও পড়ুনঃ কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
এদিকে আচমকা কেন হাইকোর্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হল? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর উত্তর খুঁজতে পূর্ত দফতরের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। জানা যাচ্ছে, এদিন আচমকা লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটায় আইনজীবীদের একাংশ এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান। থমকে যায় নানান মামলার শুনানি। প্রায় মিনিট সাতেকের চেষ্টার পর ফের স্বাভাবিক হয় সব কিছু।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই ঘটনা প্রসঙ্গে একজন আইনজীবী বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে লোডশেডিংয়ের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন’। এদিন হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়ায় লিফটের মধ্যে আটকে পড়েন বহু মানুষ। লিফটে আটকে যাওয়া এক আইনজীবী বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেকেই লিফটে আটকে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কিছু বয়স্ক মামলাকারীও আটকে যান। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অতীতে কখনও এই ধরণের ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি’।