বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন অনেক পরিচিত মুখ। তাদের মধ্যে একদিকে যেমন ছিলেন বেশকিছু প্রাক্তন বিধায়ক তেমনি অন্যদিকে ছিলেন বেশকিছু তৃণমূলের সাংসদও। নির্বাচনে দল বদলের যদিও তেমন কোনো ফায়দা হয়নি, বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার দলত্যাগী সাংসদদের উপর চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল দল। ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে দুই সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ করা নিয়ে আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। এই দুই সাংসদ হলেন পূর্ব বর্ধমানের পরিচিত নেতা সুনীল মণ্ডল এবং শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারী। দল ছাড়লেও এখনো সাংসদ পদ ত্যাগ করেননি তারা, আর সেই কারণেই প্রথমে আবেদন এবং পরে আজ ফোনে লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাননীয় স্পিকারকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই তৃণমূল সমস্ত নথি পত্র দিয়ে ওই দুই সাংসদের পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছে তানি এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না কেন। উত্তরে মাননীয় স্পিকার বলেন, এ বিষয়ে ফাইল পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। দ্রুত সিদ্ধান্ত আপনাকে জানানো হবে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ বিষয়ে ফাইল পর্যালোচনায় কিছু নেই তারা প্রকাশ্যে অন্য দলে যোগদান করেছেন। একদিন তাদের ডেকে জিজ্ঞেস করলেই হয় তারা কোন দলে?
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুদীপ বলেন , “আমাকে ওম বিড়লাজি যা বললেন তা হল আমি ফাইল পর্যালোচনা করে দেখছি এবং এ বিষয়ে আপনাকে যা সিদ্ধান্ত হয় তা জানাচ্ছি। আমি তখন বলেছি এ বিষয়ে পর্যালোচনা করার কিছু নেই। তারা পদত্যাগ করেছেন, প্রকাশ্যে মঞ্চে চলে গিয়েছেন। এগুলো জনসমক্ষে উন্মোচিত।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। তবে পূর্ব বর্ধমানের সংসদ সুনীল মণ্ডল বলেন, “ওরা নিশ্চয়ই এটা করতে পারেন। আমি এই মুহূর্তে অসুস্থ রয়েছি। তবে আমি পরবর্তীকালে আমার কাজে যোগদান করব।”
অন্যদিকে এও শোনা যাচ্ছে যে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগী আইনের প্রয়োগ চান শুভেন্দু অধিকারীও। এ বিষয়ে আগামী দিনে রাজ্যপালের সঙ্গে কথাও বলবেন তিনি। সব মিলিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব একবার ফের চরমে।