বিশ্বজিৎ দাস ছাড়াও তৃণমূলের পাল্লা ভারী করতে পারে আরও এক ‘অপমানিত’ বিজেপি বিধায়ক, সংকটে গেরুয়া শিবির

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের উৎপাতের মাঝেই রদবদল করা হল ত্রিপুরার (tripura) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (biplab deb) মন্ত্রিসভার। শপথ গ্রহণ করলেন তিন নতুন বিধায়ক কুমারঘাটের ভগবান দাস, সূর্যমণি নগরের রামপ্রসাদ পাল এবং জিরানিয়ার সুশান্ত চৌধুরীরা। সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বের বৈঠকেই, এই নতুন তিনজনের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

সোমবারের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সোনকার, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) অজয় জাম্বুয়াল, অসম-ত্রিপুরা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি ফণীন্দ্রনাথ শর্মা, ত্রিপুরার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  দিলীপ সাইকিয়ারা। কিন্তু এই বৈঠকেই অপমানিত হয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মন (sudip roy barman)।

Sudip Roy Barman

সূত্রের খবর, বৈঠকে আলোচনার সময় সুদীপ রায় বর্মন চেয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ আশিস সাহা মন্ত্রী হোক। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেন তাঁর এই ইচ্ছা পূর্ণ হবে না। আর সেই ভেবেই তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। তবে আশিস সাহারা কিন্তু সেখানেই উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু বর্তমানে যে সুদীপ রায় বর্মনকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূল বিরোধী ঢাল তৈরি করার স্বপ্ন দেখছিল বিজেপি শিবির, এখন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে তিনিই নাকি গিয়ে নাম লেখাতে পারে সবুজ শিবিরে। যোগাযোগ করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি করছেন সুদীপ রায়বর্মনের অনুগামীরা।

c85f0 tmc bjp

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সোমবারের বৈঠকে দিল্লীর নেতৃত্বরা সুদীপ রায় বর্মনকে বসতে বললেও, তাঁকে কটাক্ষ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। সেইসময় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলে, তিনি আর ফিরে আসেননি। যদিও পারিবারিক সমস্যার কারণেই বৈঠক ছেড়ে গিয়েছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

এই ঘটনায় জল্পনা আরও গভীর হচ্ছে। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচত বাগদার বিজেপির বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বনগাঁয় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্ধ জিয়িয়ে রেখে বিশ্বজিৎ দাসের দলত্যাগের পর, এবার সুদীপ রায় বর্মনকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।


Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর