বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুর্ভোগ লেগেই রয়েছে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (sudipa chatterjee) জীবনে। এই মাত্র কিছুদিন আগেই জনৈক নেটনাগরিককে ‘অশিক্ষিত’ বলে কটাক্ষ ছুঁড়েছিলেন ‘রান্নাঘর’ এর সঞ্চালিকা। তুমুল সমালোচিত হতে হয়েছিল তাঁকে। এবার হ্যাকারদের কবলে পড়তে হয়েছে সুদীপাকে। তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা!
শুক্রবার সকাল সকাল সুদীপার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের স্টোরি দেখে চক্ষু ছানাবড়া নেটিজেনদের। তাঁর ফেসবুকের স্টোরি জুড়ে একের পর এক অশ্লীল ছবি। কাণ্ড দেখে হতবাক অনুরাগীরা। অবশ্য সুদীপা তারপরেই অবশ্য নেটনাগরিকদের সতর্ক করেন। তিনি লেখেন, ‘আমার ফেসবুক পেজটি হ্যাক করা হয়েছে। যে কোনো পোস্ট এড়িয়ে যান।’
সঙ্গে সঙ্গে কমেন্ট বক্সে প্রতিক্রিয়া দিতে থাকেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমিটা স্টোরি দেখেছি আর বুঝতেও পেরেছি। পেজটি আনফলো করে দিয়েছি। ভয়ঙ্কর ভাবে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণ বেড়ে চলেছে।’ অনেকে আবার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, সুদীপার ফেসবুক পেজে এমন অশ্লীল পোস্ট দেখে।
কিছুদিন আগেই এক নেটিজেনকে কটাক্ষ করায় চরম ট্রোল হতে হয়েছিল সুদীপাকে। সদ্য অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘অন্য মায়ের পেটের ভাই’। ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই বিচিত্র কমেন্ট করে বসেন এক ব্যক্তি? তিনি প্রশ্ন করেন, অঙ্কুশ কি তাঁর নতুন স্বামী?
তাঁকে কম কথায় সুদীপা উত্তর দিয়েছেন, ‘কী হাস্যকর! ঈশ্বর আপনাকে আশীর্বাদ করুন।’ কিন্তু মূল কাণ্ডটা হয় এরপর। রাখি ঘোষ নামে এক মহিলা সঞ্চালিকার কাছে প্রশ্ন রাখেন, তাঁর পরনের শাড়িটা কি ঢাকাই আর গয়নাটা কি রূপোর? ব্যস, এতেই ক্ষেপে যান সুদীপা।
সঙ্গে সঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করে ওই মহিলাকে তিনি উত্তর দেন, ‘আমি জানি না, বাংলা ভাষাটা আজকাল এত কঠিন হয়ে গিয়েছে কারো কারো কাছে, যে সহজ সরল বাংলা বা সামান্য ইংরাজি ভাষা বোঝেন না। বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যে যাচ্ছি, সে তো বোঝাই যাচ্ছে। কোভিড হয়তো জয় করে নেব। কিন্তু অশিক্ষা আর কুরুচি জয় করব কীভাবে? আমি লিখেছিলাম যে আমি নকল গয়না পরি না, সেটা সোনার হোক কিংবা রুপোর। হে ভগবান! মানুষজন এত অশিক্ষিত হয়ে উঠেছে! একটু শান্তিতে বাঁচুন!’
সুদীপার এই উত্তর অনেককেই ক্ষুব্ধ করেছে। একজন লিখেছেন, ‘আনফলো করলাম আপনাকে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। আপনার কথাবার্তাতেই আপনার শিক্ষার পরিচয় দিচ্ছে। একটা রান্নাঘর করে এত দেমাক হলে ভারতের টপ সেলিব্রিটি হলে তো কাউকে মানুষ বলেই ভাবতেন না।’