বাংলাহান্ট ডেস্ক: মা জি বাংলার রান্নাঘরের সঞ্চালিকা। প্রতিদিনই নিত্যনতুন সুস্বাদু খাবারের স্বাদ পান সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (sudipa chatterjee)। তাঁর ছেলে হয়ে আদিদেবও (aadidev) কি খাদ্যরসিক না হয়ে যায়? সুদীপার সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেল বলছে খাবার পেলেই আর কিচ্ছুটি চাই না ছেলের। বিশেষত লুচি, কচুরি দারুন পছন্দ তার।
মামাবাড়িতেও তাই এক থালা লুচি দিয়েই আপ্যায়ন করা হল আদিদেবকে। গরম গরম ফুলকো লুচি, সাদা আলুর তরকারি আর বেগুন ভাজা। আহ! নাম শুনলেই জিভে জল এসে যায়। ছোট্ট আদিদেবেরও হয়েছে তাই অবস্থা। একটা গোটা লুচি তুলে মুখে পড়তেই মা তৈরি ক্যামেরা নিয়ে। ছেলের কাণ্ডকারখানা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ভারী মজা পান সুদীপা।
ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘মামাবাড়ি ভারী মজা/ কিল চড় নাই’। আসলে দূর্গাপুজোর জন্যই মায়ের সঙ্গে মামাবাড়িতে নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিল আদিদেব। সুদীপা জানালেন, চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে তাঁর বড়দাদার অনেক গুরুদায়িত্ব। গঙ্গায় এক ডুবে ঘট ভরা থেকে ঘট বিসর্জন বা পুজোর ভোগ রান্না সবেতেই আছেন আদিদেবের বড়মামা। প্রত্যেক বছর তত্ত্ব দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন অগ্নিদেবই। এবার সেই দায়িত্ব পেয়েছে আদিদেব।
https://www.instagram.com/reel/CUwImVmBe07/?utm_medium=copy_link
পুজো আসতে আর দিন কয়েকের দেরি। কিন্তু আদিদেবের যেন আর তর সইছে না। এর আগে বাড়ির প্রতিমা তৈরির কাজ তদারকি করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। মুখের সামনে ক্যামেরা ধরতেই মাস্ক নামিয়ে ভেংচি। বাড়ির পুজো নিয়ে সবথেকে বেশি উত্তেজিত আদিদেবই।
কিছুদিন আগেই আরেকটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন সুদীপা সেখানে একটি জিলিপি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল আদিদেবকে। সামনে প্লেটে সাজানো কচুরি, তরকারি শিঙাড়া। আদিদেবেরের চোখ একবার কচুরির প্লেটের দিকে আর একবার হাতের জিলিপির দিকে।
https://www.instagram.com/reel/CUsN3Bzhgr7/?utm_medium=copy_link
ভাবটা এমন, ‘আগে কোনটা খাই কচুরি নাকি জিলিপি?’ ঘুম থেকে উঠেই ছেলের এই কাণ্ড দেখে ক্যামেরাবন্দি করার লোভ সামলাতে পারেননি সুদীপা। সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দিয়েছেন ট্রেন্ডি ‘জলেবি বেবি’ গান। কমেন্ট বক্সে আদিদেবের জন্য উপচে পড়েছে ভালবাসা। আবার কয়েকজন লিখেছেন, কচুরি জিলিপি দেখে তো তাদেরই খেতে ইচ্ছা করছে।