বাংলাহান্ট ডেস্ক: সদ্য নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (sudipa chatterjee)। রেস্তোরাঁ, শাড়ির বুটিকের পর এবার সোনার গয়নার ব্যবসা খুলে বসেছেন ‘রান্নাঘরের রানী’। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবসার প্রাথমিক প্রচার সেরে ফেলেছেন তিনি। এবার ছেলে আদিদেব চট্টোপাধ্যায়কে সোনার পৈতে পরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করলেন সুদীপা।
পরনে খাটো ধুতি, আদুর গায়ে জ্বলজ্বল করছে সোনার পৈতে। মঙ্গলবার সুদীপার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এমনি সাজে দেখা গেল ছোট্ট আদিদেবকে। নতুন সাজে সেজে আদিদেবের মুখে উজ্জ্বল হাসি। আগেকার দিনে মানুষ সোনার পৈতে পরত, তেমনি প্রয়াস করেছেন সুদীপা। পাশাপাশি পৈতের মাহাত্ম্যও বুঝিয়েছেন তিনি।
পোস্টে সুদীপা লিখেছেন, ‘একটি শিশু জন্মানোর অনেক আগে থেকেই তার বাবা-মা, দাদু-ঠাকুমা, দিদিমা, পিসিমা, আত্মীয়-স্বজন, সবাই মিলে তার মঙ্গলকামনায় নানান কিছু করে থাকেন। একেই বলে ‘সংস্কার’। প্রাচীন মুনি-ঋষিরা তাই ‘দশবিধ সংস্কার’ এর কথা বলে গিয়েছেন।
যেমন- মানবীয় গুণসম্পন্ন সন্তানলাভের আশায়- ‘গর্ভধারণ’, ’পুংসবন’, ‘সীমান্তায়ন’…. সন্তানের বুদ্ধি, মেধা বৃদ্ধির আশায়- ‘জাতকর্ম’… সন্তান জন্মানোর ৬/১০/১১/১২/২১/ কিংবা ১০০ তম দিনে-‘নামকরন’… সুস্বাস্হের আশায় ও প্রকৃতির সাথে পরিচিত করাতে- ‘অন্নপ্রাশন’… বিদ্যারম্ভের আগে,মাথার চুল ফেলে দেওয়া- ‘ চূড়াকরন’ ও বিদ্যারম্ভের অনুষ্ঠান ও তৃতীয় নয়নের উন্মোচনের আশায়- ‘উপনয়ন’। এছাড়া রয়েছে- বিদ্যাশেষে ‘সমাবর্তন’ ও সবশেষে-‘বিবাহ’।
অনেকেই মনে করেন- উপনয়নের দিন পরা পৈতে,আসলে বর্ণবিভেদ ও অহংকারের জন্ম দেয়। কিন্তু,ব্যাপারটা ঠিক তার উল্টো। পৈতে- পৈতেধারীকে বারবার মনে করিয়ে দেয়,সমাজে তার ধর্ম (পুজো নয় কিন্তু? এখানে দায়-দায়িত্বের কথা বলা হচ্ছে) পালনের কথা। তার শিক্ষার কথা। তার বিদ্যার কথা। মানুষের মধ্যে তার বিদ্যার্জনের ফলে প্রাপ্ত শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা।
পোস্টে উপচে পড়েছে নেটিজেনদের কমেন্ট। তার মধ্যে অধিকাংশই তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন সুদীপাকে। একজন লিখেছেন, ‘আপনার একটুও লজ্জা করে না নিজের প্রতিপত্তির প্রচার করতে.আজ সারা ভারতবর্ষের কোমর ভেঙে গেছে দীর্ঘ লোকডাউনে আর আপনি fb যেখানে এখন সব শ্রেণীর মানুষের সহাবস্থান সেখানে নির্লজ্জের মতো সোনার পৈতে দেখাচ্ছেন. গরিব ব্রাহ্মণরা 2 টাকার পৈতেও ভুজ্জিতে গ্রহণ করেন. ওটা তাঁদের প্রাপ্য, সম্মানের পাশাপাশি অহংকারেরও বটে. কিন্তু আপনি এভাবে ব্রাহ্মন সমাজকে অপমান করছেন. এতো ঔদ্ধত্ব তা কিসের?’
আরেক জনের বক্তব্য, সুদীপার মতো বড়লোকদের পক্ষেই এগুলো সম্ভব। মধ্যবিত্তদের কাছে এ শুধুই বিলাসিতা। উত্তরে সুদীপার প্রশ্ন, মাঝরাত পর্যন্ত গয়নার দোকানে যারা লাইন দেয় তারা তাহলে কারা? নেতিবাচক মন্তব্য করতেই হবে? তবে শুধুই যে কটাক্ষ, সমালোচনা এসেছে এমনটা কিন্তু নয়। ‘ছোট্ট বামুন’ আদিদেবকে দেখেও আপ্লুত নেটিজেনরা।