বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election )। তার আগে ভোট প্রস্তুতিতে আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। চলছে সভা, পাল্টা সভা, মিছিল, মিটিং। এবার ভোট পূর্বে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে ময়দানে নামল লাল বাহিনী। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথিতে সিপিএম-এর কর্মসূচি থেকে বিজেপি-তৃণমূলকে একহাত নিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
এদিন বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দেশপ্রাণ ব্লকে বামেদের একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে দেশপ্রাণ নামালডিহা থেকে শুনিয়া নেতাজি মোড় পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার মিছিল করে সিপিএম। সেই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty), জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, সিপিএম নেতা হিমাংশু দাস, অনাদি সাহু সহ অন্যান্যরা। এদিন সেই কর্মসূচী থেকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসকদলকে।
ঠিক কী বললেন বাম নেতা? এদিন সুজন বলেন, “দিদির সুরক্ষা কবচের দূত হয়ে তৃণমূল নেতারা এলাকায় গেলে তাড়া খাচ্ছেন। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয় রাজ্যের সব জায়গায় এক পরিস্থিতি। অপেক্ষা করুন তৃণমূল নেতারা, আর তৃণমূল থেকে যাওয়া বিজেপি নেতারা মানুষের কাছে ঘাড় ধাক্কা খাবে। লাল ঝান্ডা মুছে দেওয়ার ক্ষমতা নরেন্দ্র মোদী,অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়নি।”
যদিও সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা তাঁকে বিঁধেছেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তাঁর কথায়, “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দেখেছি, তাঁরা তলায় তলায় বিজেপিকে মদত করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা থেকে পর্যুদস্ত করার চক্রান্তে তাঁরাও সামিল ছিলেন। তাদের ভোট শতাংশ এক বছরের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল লাল বাহিনী। ”
থেমে থাকেনি বিজেপি বাহিনীও। বিজেপির জেলা সহসভাপতি অসীম মিশ্রও সুজন চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, “রাজ্য রাজনীতিতে জীবাশ্ম হয়ে যাওয়া একটি রাজনৈতিক দলকে জল ছিটিয়ে শাসক দলের লোকেরা বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ওদের চেহারা, ওদের স্বরূপ মানুষ জানে।”