বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় একের পর এক তৃণমূল নেতাদের নাম জড়ানোর ফলে ক্রমশই মুখ পুড়ে চলেছে রাজ্যের শাসকদলের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারীর মতো নামকরা ব্যক্তিত্বদের হাজিরা দিতে হয়েছে সিবিআই অফিসে আর এই নিয়ে পরিস্থিতি যখন ক্রমশ পারদ চড়িয়ে চলেছে, সেই মুহূর্তে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, “সিপিএম আমলে চিরকুট দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো।” এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘চিরকুট’ প্রসঙ্গ নিয়েই তাঁকে আক্রমণ শানালেন সিপিএম নেতা তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
সত্যিই কি চিরকুট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের চাকরি দেওয়া হতো?, এ প্রশ্নের জবাবে এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি ভাইস চ্যান্সেলর আছেন, ওনার চাকরি চিরকুটের মাধ্যমে হয়েছিল কিনা, জিজ্ঞাসা করে দেখবেন। আসলে বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী এবং অনুব্রত মণ্ডলের মত নেতাদের সিবিআই অফিসে দৌড়াতে হচ্ছে। এইজন্য তাঁর(মুখ্যমন্ত্রী) মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এইসব কারণে মাথা গরম হওয়ার কারণেই পেট গরম আর তা থেকে শরীর খারাপ হয়েছে। আসলে দিল্লিকে ম্যানেজ করতে না পারায় দলের এই অবস্থা! সেই জন্য উনি আজেবাজে বকছেন।”
সুজন আরো বলেন, “চিরকুট খুঁজতে হবে না। যারা পরেশ অধিকারীকে খুঁজতে পারে না, তারা চিরকুট খুঁজবে! আপনাকে আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আপনার কথা যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে করুন; নয়তো নাক খত দিন।”
প্রসঙ্গত, গতকাল স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি প্রসঙ্গের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাম আমলে একটা চিরকুট দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো। এমনকি ট্রান্সফারও করা যেত। আমি সব খোঁজ নিয়েছি। 34 বছরে সিপিএম কি কি করেছে, সব ওপেন হবে। আমার ভদ্রতাকে যদি দুর্বলতা মনে করেন, তাহলে আপনারা ভুল করবেন।” ফলে গতকালের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য আর এবার সুজন চক্রবর্তীর পাল্টা মন্তব্য এই বিতর্ককে আরো বৃদ্ধি করলে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।