বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালা বদলের সময় থেকে রাজ্যে সিপিএম-এর খাতা যে বন্ধ হতে বসেছিল, তা সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলাই যায়। তবে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আশা নিয়ে
বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাল বামেরা। যদিও আগে থেকেই কথা চলছিল কিন্তু তা শেষ অবধি হয়ে ওঠেনি। কিন্তু উপনির্বাচনে তা সম্ভব হয়েছে। তাই তো জোটের সমঝোতা করে খড়গপুরে প্রার্থী দেয়নি বামেরা।
তবে জোট বেঁধেও যে সুরাহা হল এমনটাও নয়।
বিধানসভা উপনির্মোবাচনে মোটের ওপরে ভালো ফল হয়নি বাম কংগ্রেস জোটের। তাই কিছুটা হলেও হতাশ বাম ও কংগ্রেস উভয়েই। নিজেরাই জানালেন জোট বেঁধে ফল লাভ না হওয়ার কথা। তাই এবার সেকথা নিজে মুখে স্বীকর করে নিয়ে সুজন ও সোমেনরা সরাসরি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে তাঁরা ব্য়র্থ এমনটা বলেই ফেললেন। তাই সিপিএম-এর ভোট কিছুটা হলেও যে শাসক শিবিরের দিকে চলে গেছে তা বোঝাই যাচ্ছে।
তবে লোকসভা ভোটের থেকে কিছুটা হলেও দিলীপের দুর্গে কিন্তু ভোট বেড়েছে জোটদের। ৫ শতাংশ বেড়েছে। আর জোট শিবিরের ফল ১০.১৬ শতাংশ। তবে এবারে জোটের খাতায় ১৪.৯ শতাংশ। তবে করিমপুরে জোট শিবিরের ভোট অনেকটাই কমে গেছে। ৯.০৯% এবং কালিয়াগঞ্জে হয়েছে ৮.৬৫%। তাই দিলীপের দুর্গে থাবা বসানোর চেষ্টা করলেও ব্য়র্থ।
তাই এবার হতাশ হয়েই বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেই ফেললেন, ”মানুষ লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূলের বিকল্প বিজেপিকে ভেবেছিল। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে ভেবে নিয়েছে। তাই উপনির্বাচনের ফল এবং মানুষের মিটিং মিছিলে যোগদান না করাই বলে দিচ্ছে আমাদের দলে কেউ নেই, বলেন সুজন।উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যের তিনটিতেই তিনটি দখল করেছে শাসক শিবির। একেবারে হ্যাটট্রিক করে ফেলেছে। তাই একদিকে যেমন এতে ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি অন্য়দিকে হতাশ সিপিএম।