উদয়ন বিশ্বাস, বাংলা হান্ট- বিজেপির মহিলা নেতৃত্ব মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা খাঁ। কারণ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সারা ভারতবর্ষের মধ্যে একজন সাংসদ যিনি এলাকায় না
ঢুকে বিপুল ভোটে জিতেহেন এবং তার মূল কান্ডারী ছিলেন বিষ্ণুপুরের ঘরের মেয়ে সুজাতা খাঁ, তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের দাপুটে নেতা শ্যামল সাঁতরা কে বিপুল ভোটে হারিয়েছে। তারপরে রাজ্য রাজনীতি মুখ্য ভূমিকায় উঠে আসে সুজাতা খাঁ এবং তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুরু করে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, তিনি তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছেন লড়াই করে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এই বিষয় অত্যন্ত খুশি এবং তারা আগামীদিন সুজাতা কে বড় পদ দিতে পারে রাজ্য নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়ে গেছে বলে জানাগেছে। ফলে সব ঠিক থাকলে পুজোর পরেই মহিলা মোর্চার বড় দায়িত্ব পেতে চলেছে সুজাতা খাঁ, অন্যতম কারণ দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির ডিনার ডেকেছিল সব সাংসদকে।
সাংসদ সৌগত সৌমিত্র খাঁ কে প্রকাশ্যে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন সুজাতা লড়াকু নেত্রী। তখন সেখানে উপস্থিত বাংলার একাধিক সংসদরা।
সাম্প্রতিক বিষ্ণুপুরের সুজাতা খাঁ সভা করছে তা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করছেন, কখনও উত্তর ২৪পরগনা, কখনো দক্ষিণ ২৪ পরগনা কখনো কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলাতে তিনি সভা করছেন । এই লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন সুজাতা।
শিক্ষিকা হিসেবে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বিগত দিন গুলো, এবার রাজনীতির ময়দানে তিনি লড়াই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে সুজাতা দিদি জানিয়েছে তাকে যদি দল কাছে সুযোগ দেয় তাহলে তিনি দলের জন্য জীবনটাও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত কারণ তিনি
বলেন বাংলায় ২০১১সালে যে নতুন সূর্যোদয় হয়েছিল সেই সূর্যোদয়ের করার জন্য মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ক্ষমতায় এনেছিল কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বাংলায় গণতন্ত্র নেই, পুলিশ কে সাথে নিয়ে লড়াই করছে তৃণমূল, গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয় এছাড়া একাধিক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে সেই নিয়ে তিনি ক্ষোভ উগরে দেন।
আগামী বিধানসভা কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য বিজেপি, সুজাতাকে বিষ্ণুপুর লোকসভার মধ্যে কোন একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই জন্য প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করতে পারে কিন্তু এই বিষয়ে সুজাতা মুখ খুলতে চাইনি।
তিনি জানিয়েছেন মানুষের কাছে কাজ করতে গেলে কোন পদের প্রয়োজন হয় না, এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত তাকে কাজে লাগিয়ে বাংলার রাজনীতি শক্ত করতে পারে কিনা বিজেপি, সেই দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।