বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন নাম উঠে আসছে। এই নামগুলির মধ্যে অন্যতম একজন হলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি আবার ‘কালীঘাটের কাকু’ নামেও খ্যাত। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত একাধিক অভিযুক্ত অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুজয় বাবুর দিকে। সেই থেকে এই দুর্নীতির মামলায় অন্যতম একজন কৌতুহলী চরিত্র এই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। শুরু থেকেই তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সবার মনে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
এবার সামনে এল এক নতুন তথ্য। বেহালার (Behala) বাসিন্দা সুজয় কৃষ্ণ লড়াই করেছিলেন বিধানসভা ভোটে। ভবানীপুর বিধানসভা (Bhawanipur Assembly) কেন্দ্রে তিনি লড়েছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। এই ভোটে তিনি পেয়েছিলেন ৮০৯ টি ভোট। এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৭৩,৬৩৫ ভোট।
এই অংক থেকে স্পষ্ট নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করা সুজয় ধারে কাছে ছিলেন না শাসক-বিরোধী দুই প্রার্থীর কাছে। ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনী কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই ওই নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি সুজয়। এরপর তিনি সরে দাঁড়ান রাজনীতির আঙিনা থেকে। তিনি একাধিকবার বলেছেন বর্তমানে তিনি আর রাজনীতিতে সক্রিয় নেই।
সুজয় কৃষ্ণ যে কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই কেন্দ্রে যে তিনি পরাজিত হবেন তা তিনি জানতেন। তাহলে তাও কেন তিনি ভোটে দাঁড়ালেন? সুজয় কৃষ্ণের জবাব,”মমতার বিরুদ্ধে আমি দাঁড়াইনি। ইচ্ছা হয়েছিল ভোটে দাঁড়াবার। বেহালায় আমার বাড়ি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মানুষের সাথে ব্যালট পেপারে নাম থাকলে ভালো লাগে। রাম-শ্যাম-যদু-মধুর সাথে লড়াই করে কি লাভ? আমাকে কে চেনে যে ভোট দেবে? বুথে বুথে ঘুরতে পারবো, এটাই আমার ইন্টারেস্ট।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে সুজয় কৃষ্ণ আসলে “ডামি” প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রাচীনকাল থেকেই ভোটে “ডামি” প্রার্থী দাঁড়করানোর রীতি আছে। এই প্রার্থী দাঁড় করানোর প্রধান উদ্দেশ্য ভোট গণনার সময় কাউন্টিং এজেন্ট বাড়িয়ে নেওয়া। সুজয় কৃষ্ণ এইসব কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, মমতা প্রীতি থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।