বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টার অভিযোগে রাজ্যের এক IC-র বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এমনকি, এই প্রসঙ্গে তিনি বিস্তারিত বিবরণের মাধ্যমে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে পুরো বিষয়টি সামনে আনেন। পাশাপাশি, সেই পোস্টে তিনি রাজ্য সরকারেরও তীব্র নিন্দা করেছেন।
জানা গিয়েছে যে, মূলত, মালদা জেলার কালিয়াচক থানার IC-র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন সুকান্ত। সেখানকার কিছু গরিব হিন্দু পরিবারকে জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই বেশ কিছুজনকে গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইতিমধ্যেই দু’জন হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এহেন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত প্রতিবাদের মাধ্যমে ধর্ণায় বসেন উক্ত পরিবারের মহিলা এবং শিশুরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত তাঁর ফেসবুক পোস্টটিতে লিখেছেন যে, “গনতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে, এবং সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কিভাবে ধর্মান্তরিত হবার জন্য কোনো মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
পাশাপাশি, রাজ্যের সরকারকে হিন্দুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওই পরিবারগুলির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন যাতে সঠিক পদক্ষেপ নেয় তার দাবিও জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শুধু তাই নয়, তদন্তের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে যাতে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় সেই দাবিও করেছেন সুকান্ত। আর তা নাহলে আগামীদিনে বিজেপি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, ওই ফেসবুক পোস্টে একাধিক ইস্যুতেও রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন সুকান্ত। এই প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতা নেই এছাড়াও নানান সমস্যা আছে। তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা টুকুও থাকবে না? এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে তৃতীয়বারের ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?”