বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের বহু জায়গাতেই ত্রিশঙ্কু হয়েছে। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পায়নি কোনও দলই। ১৬ আগস্টের মধ্যে সমস্ত বোর্ড গঠন করতে হবে বলে দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর দাবি, বাম-কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের সমর্থন নিয়ে ত্রিশঙ্কু হওয়া বেশিরভাগ বোর্ড গঠন করবে বিজেপিই (BJP)। তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বাম-কংগ্রেসের (Cong-Left) নিচুতলার কর্মীরা উর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত। তাঁরা যেভাবে এখানে তৃণমূল বিরোধিতায় কুস্তি করছে আর দিল্লি গিয়ে নিজেদের মধ্যে দোস্তি করছে, তা নিচুতলার কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। অনেকে আমাদের দলে যোগও দেবেন, আপনারা দেখতে পাবেন। হেরে যাওয়া অনেক বোর্ডই দখল করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। যদি অবশ্য মথুরাপুরের মতো প্রার্থী অপহরণ না হয়। তেমনটা হলে তো পুলিশের সঙ্গে আমরা লড়তে পারব না। আমি বারবার বলছি, পুলিস যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে তাহলে তৃণমূল দলটাই থাকবে না।’
এরই মধ্যে সুকান্তর আরও অভিযোগ, প্রাক্তন এক বিডিও (BDO) তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দিচ্ছেন। সেই হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) চ্যাটের বিস্তারিত তিনি প্রকাশ্যেও এনেছেন। হরিরামপুরের প্রাক্তন বিডিও তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিজেপি জিতলে নেতাদের কাপড় খুলে নেওয়া হবে। একজন সরকারি আধিকারিক কীভাবে এমন রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ওই বিডিও-র বিরুদ্ধে তিনি মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখবেন, দরকারে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বিডিও-রা তৃণমূলের দলদাস হিসাবে কাজ। একজন বিডিও আমায় হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করে হুমকি দিচ্ছেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছি আপনি সরকারি আধিকারিক। এইভাবে কি কথা বলতে পারেন?’