[wpcode id="578497"]

গুরুতর অসুস্থ সুকান্ত মজুমদার! চলছে অক্সিজেন, তড়িঘড়ি সাংসদকে আনা হচ্ছে কলকাতায়

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে গুরুতর অসুস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar )। টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলার পর আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত। একেবারে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিজেপি সাংসদ। বেশ কিছু মাটিতেই পড়ে থাকেন তিনি। সেখান থেকে সুকান্তকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয় সুকান্তর।

সূত্রের খবর, বর্তমানে কলকাতায় আনা হচ্ছেবিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। চলছে অক্সিজেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা জানান, সুকান্ত দীর্ঘ ক্ষণ সংজ্ঞাহীন ছিলেন। সুকান্তের অবস্থা ভাল নয়। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তবে এখন কিছুটা নিশ্বাস নিতে পারছেন তিনি।

গত কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত রয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। সন্দেশখালির প্রবেশপথ গুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য পুলিশ। এই আবহেই সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য রওনা দেন সুকান্তেরা (Sukanta Majumdar)। সেখানে স্থানীয়দের সাথে সরস্বতী পুজোর পরিকল্পনা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে গেরুয়া সাংসদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল টাকির হোটেলে সরস্বতী পুজো করা হবে। তবে শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনায় বদল এনে জানানো হয় সন্দেশখালিতেই হবে সরস্বতী পুজো। হোটেল থেকে প্রতিমা নিয়ে সন্দেশখালির পথে রওনাও দেন সুকান্ত মজুমদার। তবে পুলিশি বাধায় সন্দেশখালি পৌঁছতে পারেন নি।

অনুমতি না মেলায় টাকিতেই ইছামতীর তীরে সরস্বতী পুজোয় বসেছিলেন সুকান্ত। তবে সেখানেও পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। সেই সময় পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েছিলেন সাংসদ। সেখান থেকে কোলে করে নামিয়ে আনা হয়। এর ঠিক পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি নেতা।

আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে তোলপাড়! ED-র হাতে গ্রেফতার বিশ্বজিৎ, এর আসল পরিচয় জানলে মাথা ঘুরে যাবে

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। গতকাল মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুর স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকালে করে বসিরহাটে পৌঁছে যান সুকান্ত। সেখান থেকে এসপি অফিসের কাছাকাছি পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সুকান্তদের বাধা দিতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পাল্টা পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিরুদ্ধে।

ঘটনার জেরে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন জখম হন। এর পর সুকান্ত সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। যদিও মধ্যরাতেই সুকান্তকে বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে পুলিশ। রাতেই সুকান্তকে নিয়ে যাওয়া হয় টাকির একটি হোটেলে। বুধবার সেই হোটেলেই সরস্বতী পুজো করার কথা ছিল তাদের। তবে পরিকল্পনা বদলে
সরস্বতী পুজোর দিনে সন্দেশখালির মা-বোনেদের কাছেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুকান্তরা। সরস্বতী প্রতিমা, পুরোহিত সঙ্গে করেই তারা সন্দেশখালির পথে রওনা হন।

sukanta majumder saraswati pujo

সুকান্ত জানিয়ে দেন, যতই বাধা দেওয়া হোক না কেন আজ সন্দেশখালিতে তারা যাবেনই। তবে সেই পথেই তাদের বাধা দেয় পুলিশ। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে তাই সেখানে জমায়েত করা যাবে না বলে জানানো হয়। সুকান্ত জানান, তিনি সন্দেশখালিতে যাবেনই। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X