BJP-র মাস্টারস্ট্রোক! বাংলার বাইরে বাঙালি জাগরণে খোদ মোদীর বারাণসীতে দুর্গাপুজো পরিচালনার ভার সুকান্তর কাঁধে

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আর এক সপ্তাহ পরেই শুরু দুর্গাপুজো। শারদীয়ার আনন্দে মশগুল আপামর বাঙালি সমাজ। বাংলায় উমার আগমনীর প্রস্তুতি তুঙ্গে। অনেক পুজোর উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় দুর্গাপুজো নিয়েই এক গুরুদায়িত্ব পেলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী গড় বারাণসীতে দুর্গাপুজো পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন তিনি।

বারাণসীতে দুর্গাপুজো পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)

জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ দ্বিতীয়ার দিন দলের নির্দেশে বাংলা ছাড়ছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলীয় নির্দেশেই পুজোর মুখে বারাণসীতে যাচ্ছেন তিনি। এমনিতে বারাণসীতে প্রচুর বাঙালির বাস। সেখানকার প্রবাসী বাঙালি সমাজের উদ্যোগে বেশ কিছু দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়ে থাকে যোগী রাজ্যের এই শহরে।

Sukanta Majumdar given responsibility to conduct Durga Puja in varanasi

পুজোর মধ্যেই বারাণসী যাবেন সুকান্ত: জানা গিয়েছে, এবার দলের ওপর তলার নির্দেশেই এই বড়সড় দায়িত্ব পেয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বারাণসীতে গিয়ে সেখানকার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তিনি আলাপচারিতা সারবেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বারাণসীতে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি কতদূর এবং সেখানে পুজোর প্রসার নিয়েও জরুরি বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সহ সাধুসন্তদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা সারবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : ছোটবেলায় একটা জামা পরেই কাটাতেন পুজো, প্রতিষ্ঠিত হয়েও ফেলে আসা দিন নিয়ে নস্টালজিক সায়ক

গুজরাটেও সেরেছেন প্রচার: এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আপন গড় গুজরাটেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হয়ে প্রচার এবং জনসংযোগ সেরেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সে রাজ্যেও বাঙালি জাগরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। আর এবার প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্রেও বড় দায়িত্বের ক্ষেত্রে তাঁকেই ভরসা করল বিজেপি।

আরও পড়ুন : ৭ বছরে বদলে গিয়েছেন মধুমিতা! নতুন সিরিয়াল শুরু হতেই কটাক্ষ দর্শকদের, টিআরপিতে কী প্রভাব পড়বে?

প্রসঙ্গত, বাংলায় বারংবার কটাক্ষের মুখে পড়েছে বিজেপি। ‘বহিরাগত’ বলে একাধিক বার রাজ্য সরকার আঙুল তুলেছেন পদ্ম শিবিরের দিকে। এমনকি বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষের অভিযোগও উঠেছে। এমতাবস্থায় বাংলার বাইরে শারদীয়ার মাধ্যমে বাঙালি জাগরণের ক্ষেত্রে বিজেপির এই উদ্যোগকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।