বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টানা দু’দিনের দু’টি ধর্মীয় কর্মসূচিকে ঘিরে বাংলার রাজনীতিতে চলছে টানটান উত্তেজনা। একদিকে ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মহাসমারোহে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। অন্যদিকে তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই রবিবার সকালে ব্রিগেডে শুরু হয়েছে ‘৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’-এর বিশাল অনুষ্ঠান। এই দুই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা (West Bengal Politics)।
বেলডাঙায় বাবরি শিলান্যাস, উত্তাল রাজনীতি (West Bengal Politics)
হুমায়ুন কবীরের এই সিদ্ধান্তেই শুরু হয়েছে আলোচনা এবং বিতর্ক। তিনি নতুন দল ঘোষণার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। ভোটের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনীতির মঞ্চ (West Bengal Politics)।
পরদিনই ব্রিগেডে গীতাপাঠ
রবিবার ভোর থেকেই ব্রিগেডে মানুষ জমতে শুরু করেছেন। উপস্থিত থাকছেন কার্তিক মহারাজ, সাধ্বী ঋতম্ভরা, ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, রামদেবের মতো বিশিষ্ট ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা। পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন বিজেপি নেতারা, যথা – শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদারসহ আরও অনেকে।
ফলে গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠান নিয়েও রাজনীতিতে তাপ বাড়ছে (West Bengal Politics)।
মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর
বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পরদিনই ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ,“আমরা গতকাল যা দেখেছি, তাতে পরিষ্কার হিন্দু ভোট ভাগ করা এবং মুসলিম ভোট এক করার চক্রান্ত চলছে। এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ধরনের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বারবার তোল্লা দিয়ে বড় করেছেন।”তিনি আরও বলেন,“একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিংহভাগ হিন্দু ভোট দেয়নি। হিন্দুরা তাঁকে বিশ্বাস করে না।”

গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের রাজনৈতিক রং নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সুকান্ত মজুমদারের বলেন,“নির্বাচনের সঙ্গে গীতাপাঠের কোনও সম্পর্ক নেই। গীতাপাঠ হিন্দুদের অনুষ্ঠান। রাজনীতি রাজনীতির মতো চলবে, আর গীতা তো শাশ্বত।”(West Bengal Politics)












