নাগরিকত্ব আবেদনের মেয়াদ বাড়ল আরও ১০ বছর, এই ঘোষণার মধ্যেই ‘সেকুলারিজম’ নিয়ে তোপ সুকান্তর

Published on:

Published on:

Sukanta Majumdar on CAA deadline extension and secularism debate

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় আবেদন করার সময়সীমা আরও ১০ বছর বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের পরেই কলকাতার ICCR মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এবার ওপার বাংলা থেকে আসা দলিতদের জন্য প্রকৃত স্বীকৃতি মিলল।” পাশাপাশি তিনি সেকুলারিজম ও হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মন্তব্য করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন।

ইতিহাসকে টেনে আনলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)

মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ইতিহাস টেনে আনেন। তাঁর কথায়, পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী ছিলেন যোগেন মণ্ডল, যিনি দলিত সমাজের আস্থার প্রতীক ছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ওপার বাংলায় চরম হেনস্থার শিকার হয়ে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে এপারে পালিয়ে আসেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “যে পাকিস্তান যোগেন মণ্ডলকে ফ্ল্যাট দিয়েছিল, সেখানেই ইজ্জত বাঁচাতে তাঁকে পালাতে হয়েছিল। সেই সময় থেকেই ওপার বাংলার দলিতরা চাপে পড়ে গিয়েছিলেন।”

এর আগেও বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য বিশেষ ক্যাম্প খুলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে নিজের দপ্তরে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। CAA-র আবেদন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য বহু শরণার্থীর পাশে দাঁড়ান তিনি। তাঁর বক্তব্য, ১৯৪৭ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অত্যাচারিত মানুষ এপারে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বিশেষ করে মহিলারা নানান শোষণের শিকার হয়েছেন।

এদিনের সম্মেলনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সেকুলারিজম, প্লুরালিজম, কমিউনিজমে সবই ততক্ষণ পর্যন্ত থাকবে, যতক্ষণ হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবেন। যদি না থাকেন, তবে এই সব আদর্শও থাকবে না।” তাঁর দাবি, এত দিন কেউ ওপার বাংলার দলিতদের জন্য চিন্তা করেননি। শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই এই পদক্ষেপ সম্ভব হয়েছে।

Sukanta Majumdar on CAA deadline extension and secularism debate

আরও পড়ুনঃ ৩-৪ হাজার কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি! ‘দাগি’ তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক বাগ কমিটির আইনজীবী

কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা অমুসলিম শরণার্থীরা ২০২৫ সালের পরও নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। আগে যেখানে সীমা ছিল ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, সেখানে তা আরও এক দশক বাড়িয়ে দেওয়া হল। তো এর মধ্যে ‘সেকুলারিজম’ নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্য রাজনৈতিক বিতর্ককে আরও উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনীতি মহল।k