‘দাগি’ তালিকা আগেই ছিল SSC-র কাছে? আগে কেন প্রকাশ করা হল না? প্রশ্ন সুকান্তর

Published on:

Published on:

Sukanta Majumdar questions credibility of SSC tainted candidates list

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে এল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) ‘দাগি অযোগ্য’ প্রার্থীদের তালিকা। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ১৮০৪ জনের। কিন্তু নামের পাশে কেবল রোল নম্বর থাকায় তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে প্রশ্ন করে কেন এখনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আদালত স্পষ্ট জানায়, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করা হয়নি। অথচ এসএসসি তালিকা প্রকাশে গড়িমসি করছে। এরপরই শীর্ষ আদালত শনিবারের মধ্যে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। তবে শনিবার সারাদিন জুড়ে কমিশন দফতরে নাটকীয়তা চলতে থাকে। কখন তালিকা প্রকাশিত হবে, তার স্পষ্ট তথ্য না দিয়েই প্রথমে একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়, যা কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)

এই ঘটনার পরেই ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গোটা দিন নাটকের পর অবশেষে ১৮০৪ জনের তালিকা প্রকাশ করা হল। কিন্তু তার আগে একটি তালিকা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি সরিয়ে দেওয়া হল। কেন এমন হল, তা আমরা বুঝতে পারছি না।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “তালিকায় শুধু রোল নম্বর রয়েছে, কিন্তু তাঁদের আসল পরিচয় কী, তাঁরা আদৌ চাকরি করছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। এত কম সংখ্যক অযোগ্য প্রার্থী হওয়াটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

শুধু তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতাই নয়, কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের ধমক খাওয়ার পরেই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তার মানে কমিশনের কাছে তালিকা আগেই প্রস্তুত ছিল। কিন্তু হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় তা প্রকাশ করা হয়নি কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

Sukanta Majumdar questions credibility of SSC tainted candidates list

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ি-কাঁথির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অস্বস্তি, দ্বন্দ্ব মেটাতে সংগঠনে কড়া বার্তা অভিষেকের

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। এদের মধ্যে কে ‘যোগ্য’, কে ‘অযোগ্য’, তা নিয়েই আদালতের নির্দেশে এই তালিকা প্রকাশ করতে হয়েছিল। তবে কমিশনের প্রকাশিত তালিকাকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে নতুন করে চাপ বাড়ল রাজ্য প্রশাসনের উপরে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর (Sukanta Majumdar) দাবি, “যোগ্য হয়েও যাঁদের আবার পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে, তাঁদের উচিত শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হওয়া।”