বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঞ্চিত বাংলা! প্রায় সমস্ত সরকারি প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। একশো দিনের কাজ সহ একাধিক খাতে টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। এমনই অভিযোগ বাংলার শাসকদলের। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূলকে (Trinamool Congress) বিধঁতে পাল্টা আসরে নামল বিজেপি। বুধবার সকালে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলার বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সুদীপকে ক্যাগ রিপোর্ট পড়ে দেখার পরামর্শ দেন। এর পর থেকেই সকলের মনে প্রশ্ন উঠতে থাকে যে কী রয়েছে ওই ক্যাগ রিপোর্টে? তবে সকলের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকালই সেই ক্যাগ রিপোর্ট (CAG Report) সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
বুধবার সুকান্ত মজুমদার ক্যাগ রিপোর্ট সামনে আনতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। সুকান্ত বলেন, প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি মমতা সরকার। বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট’-এ প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে, এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ক্যাগ রিপোর্টে। এই এত পরিমাণ টাকা, যার কোনও হিসেব নেই, সেই টাকা কোথায় গেল? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
সুকান্ত উল্লেখ করেছেন, ক্যাগ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি বাংলার সরকার। নিয়ম অনুযায়ী কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। তবে রাজ্য তা করেনি।
প্রসঙ্গত, সেই ২০২২ সাল থেকে একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের। নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, আবাস যোজনা, রেশন দুর্নীতিতে জর্জরিত শাসকদল। তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী জেলবন্দি। এই আবহে শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। ওদিকে বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া মারাত্মক দাবি তুলে বলেন, বাংলায় যা হয়েছে তা ‘মাদার অব অল স্ক্যাম।’
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল রাজন্যার স্বামী প্রান্তিকের! ‘গোপন’ চিঠি জমা পড়ল হাইকোর্টে
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের ধরনায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সম্প্রতি শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার যদি একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের বকেয়া টাকা না মেটায়, তাহলে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্নায় বসব। আগামীকাল থেকে বিধানসভায় অম্বেদকর মূর্তি নীচে ধরনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে তার ঠিক আগের মুহূর্তেই সুকান্ত মজুমদার যে তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন তাতে আরও অস্বস্তি বাড়লো তৃণমূলের।