বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলা উপহার পেয়েছে রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। সেদিন থেকেই বঙ্গের মাটিতে পথ চলা শুরু দ্রুতগামী এই ট্রেনের। তবে যাত্রাশুরুর দুদিনের মধ্যেই পরপর আক্রান্ত বন্দে ভারত। এই আবহেই এবার ট্রেন হামলা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আরও দুটি ভালো ট্রেন হারাতে পারে বাংলা! এমননটাই শোনা গেল বিজেপি নেতার গলায়।
লাগাতার বন্দে ভারতে আক্রমণ প্রসঙ্গ ছাড়াও এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে রাজ্যের একাধিক ইস্যু নিয়ে দরবার করেন বঙ্গ বিজেপির দুই সৈনিক সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর এদিন সুকান্ত জানান, ‘‘বাংলার সব বিষয়েই রাজ্যপাল ওয়াকিবহাল আছেন। তবে আমরা বেশ কিছু বিষয় উত্থাপন করেছি।’’
অন্যদিকে পরপর দুদিন সদ্য পথ চলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনায় পেছনে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে রাজ্যের বিরোধী শিবির। এদিন রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ পর্বের পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আরও দু’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসার কথা। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটলে রেল মন্ত্রককে হয়তো অন্য কিছু ভাবতে হবে।’’ তিঁনি জানান, ‘‘আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়ার কথা ছিল বাংলার। সারা দেশে মোট ৪৭৫টি বন্দে ভারত চলার কথা। কিন্তু এ রকম ভাবে এত সুন্দর একটা ট্রেন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন রেলও হয়তো এ ব্যাপারে ভাববে।’’
পাশাপাশি, বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, ‘‘সিএএ আইন বিরোধী আন্দোলনের সময় দেখা গিয়েছিল, এনআরসির ভয় দেখিয়ে ট্রেনে-ট্রেনে হামলা হয়েছিল। এখন বন্দে ভারতের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠার প্রতিশোধ নিতে এই ঢিল ছোড়া হচ্ছে না তো?’’
এদিন রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতা। তিঁনি বলেন,‘‘আবাস যোজনায় ঘর পাচ্ছেন না। তা হলে বিডিও অফিসে ঢিল মারুন। বন্দে ভারতে কেন?’’ পাশাপাশি কোচবিহারের প্রসঙ্গত তুলে তিঁনি বলেন ‘‘রাজ্যে কোথায় কী ঘটছে, পুরোটাই রাজ্যপাল জানেন। কোচবিহারে আলুর ক্ষেতে বোমা উদ্ধার থেকে গণধর্ষণের অভিযোগ, সব কিছুই তাঁর গোচরে আছে।’’