বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। বিভিন্ন জনসভা থেকে একে অপরকে আক্রমণ শানাচ্ছে শাসক দল ও বিরোধী পক্ষ। বাক-বিতন্ডা লেগেই রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। সেই তালিকায় কয়েক দিন আগেই নাম লিখিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।
ভোটের দিন কাঁচা মাংস ঝলসে শিক কাবাব তৈরি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধীদের। হুঙ্কার দিয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এরপরই পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের সভা থেকে মদন মিত্রকে পালটা জবাব দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
এই বিতর্কে শুরু হয়েছিল কামারহাটি খাদ্য উৎসবে। মদন মিত্র (Madan Mitra) সেখানে কাবাব খেতে খেতে বিরোধীদের রীতিমতো দিয়েছিলেন তিনি। মদন সেদিন বলেছিলন, ‘শিক কাবাব তৈরি করা শিখে রাখছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিক আর কাবাব দু’টোই কাজে লাগবে। ভোটের দিন ছেলেমেয়েরা সারাদিন খালি কাজ করবে? কাবাবটা খাবে। শিকটা খুব কাজে লাগবে। কাঁচা মাংস ঝলসানো হবে। মাখন, ঘি, মধু পড়বে। দেওয়ার আগে লেবু টিপে বিটনুন আর লঙ্কা দিয়ে তৈরি হবে কাবাব। ও লাভলি।”
আজ রবিবার মদন মিত্রদ হুংকারের পালটা জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েতে বিরোধীদের শিক কাবাব বানাবে বলেছেন। যিনি সুইমিং পুলে নিজের প্যান্ট সামলাতে পারে না, নাতি খুলে ফেলে দিচ্ছে। তিনি আবার বিরোধীদের শিক কাবাব বানাবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তাই মারামারির কথা বলি না। তার মানে এটা মনে করবেন না বিজেপি হাতে চুড়ি পরে বসে আছে। প্রয়োজন পড়লে বিজেপিও সেই পথ নিতে পারে।’
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন (Sukanta Majumdar) স্পষ্ট দাবি করলেন, তাঁরা বাংলা ভাগ চান না। পূর্বস্থলীর সভা মঞ্চ থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) পাশে বসিয়ে এ কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। যা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। যখন দলের একাধিক নেতাকে বারবার বাংলা ভাগের দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে, সেখানে সুকান্তর এই মত বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।