বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা কাণ্ডের পর থেকে একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে কলেজের ছাত্র নেতাদের দাদাগিরির ছবি। সেই মতো সম্প্রতি আবার প্রকাশ্যে বালুরঘাট ল কলেজের ছাত্রনেতার কীর্তি। কয়েক মাস আগেই বালুরঘাট কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন রুমের ভিতর অবাধে চলা মদ্যপানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এবার আরও গুরুতর অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতার বিরুদ্ধে। ভাইরাল হওয়া নতুন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ছাত্রকে কলার ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন এক ছাত্র নেতা। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও পালটা জবাবে এটিকে ‘দুই বন্ধুর বিষয়’ বলে উড়িয়ে দিল তৃণমূল (Trinamool Congress)।
ভিডিও পোস্ট করে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)
সামাজিক মাধ্যমে (social media) যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক আরেক যুবকের জামার কলার ধরে টানছে। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দাবি করেছেন, টেনে নেওয়া ছাত্রটি নিরীহ এবং অভিযুক্ত ছাত্রনেতা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী রূপম লাহা। নিজের X অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ভিডিও শেয়ার করে সাংসদ লেখেন, “গোটা বাংলার কলেজগুলো এখন গুণ্ডামির আঁতুড়ঘর।” বিজেপির (BJP) জেলা নেতারাও এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
“টাই ধরা হয়েছে, কলার নয়”—বালুরঘাটে দাদাগিরি অভিযোগ উড়িয়ে দিল তৃণমূল (Trinamool Congress)
তৃণমূলের বক্তব্য, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ইচ্ছাকৃতভাবে (political agenda) ভিডিও বিকৃত করে প্রচার করছেন। জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “দুই বন্ধু ছিল, একজন আরেকজনের টাই ধরে একটু টেনে নিয়েছে। ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে কিছুটা পরে সে ছেড়ে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এটা নিতান্তই ছাত্রদের ভিতরের বিষয়। অহেতুক এখানে রাজনীতি টানা হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ ইউনুস সরকার সভ্যতার শত্রু! ‘আমি কিছুই করতে পারিনি’, চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেপ্তারিতে আক্ষেপ শমীকের
কলেজের ভারপ্রাপ্ত টিচার ইন চার্জ সন্তোষ কুমার তেওয়ারি বলেন, “আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। কোন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাও আমরা জানি না। যা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ফালতু।” ফলে এই ঘটনায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের কোনও সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।