বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের (Kasba Rape Incident) প্রতিবাদে শনিবার রাস্তায় নেমেছিল বিজেপি (BJP)। সেই সূত্রেই পদ্ম ব্রিগেডের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanata Majumdar) সহ একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গড়িয়াহাট চত্বর থেকে সুকান্তদের গ্রেফতার করা হয়। সারারাত লালবাজারে কাটানোর পর রবিবার সকালে বাইরে আসেন বালুরঘাটের সাংসদ। এরপরেই কসবা কাণ্ড নিয়ে সরব হন তিনি। সেই সঙ্গেই ‘জামিন প্রত্যাখান আন্দোলন’ শুরুর ঘোষণা করেন।
লালবাজার থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক সুকান্ত (Sukanta Majumdar)
বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন বলেন, রাতভর আমরা বসেছিলাম। পুলিশ প্রথমে বলে, সই করে জামিন নিয়ে নিন। আমরা তাতে রাজি না হওয়ায় কিছুক্ষণ পর বলে, সই লাগবে না, আপনারা এমনিই চলে যান। অর্থাৎ পুলিশের কাছে আমাদের আটকে রাখার কোনও তথ্য নেই। তাদের সেই আইনি জায়গাটাই ছিল না।
সুকান্ত বলেন, আমি বলেছিলাম আদালতে পেশ করুন। কিন্তু পুলিশ জানায়, আপরা আপনাদের আদালতে নিয়ে যেতে পারব না। আপনারা চলে যান। তাহলে প্রশ্ন হল, আমাদের কেন ৪-৫ ঘণ্টা আটক করে বসিয়ে রাখা হল? পুলিশ এর কোনও উত্তর দিতে পারেনি।
আরও পড়ুনঃ কসবা কাণ্ডে বেফাঁস কল্যাণ-মদন! মহুয়া এবার বলেই দিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস…’
বালুরঘাটের সাংসদ জানান, বেঞ্চের উপর বসে রাত কাটিয়েছেন তাঁরা। জলের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত ছিল না, বাইরে থেকে খাবার ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি আহত বিজেপি কর্মীদের ওষুধের জন্যেও অনেক লড়াই করতে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিন ‘জামিন প্রত্যাহার আন্দোলনে’র কথাও ঘোষণা করেন সুকান্ত।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, ‘আমি, তমোঘ্ন ঘোষ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ ৩২ জন বিজেপি নেতা মিলে জামিন প্রত্যাহার আন্দোলন শুরু করলাম। এরপর বাংলার যেখানেই গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে বিজেপির কর্মকর্তারা গ্রেফতার হবেন, আমরা জামিন প্রত্যাহার করব। পুলিশের বেশি ক্ষমতা নাকি বিজেপি কার্যকর্তাদের আমরা দেখতে চাই। দেখব, পশ্চিমবঙ্গে কত জেল আছে?’
এদিন সকালে কসবা গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়েও সরব হন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপি সাংসদের দাবি, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে কসবা, রাজ্যের নানান প্রান্তে মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। গত বছরের আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় জারি সতর্কতা, আজ কোথায় কোথায় বর্ষণ?
সুকান্ত বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ডের ১০ মাসের ব্যবধানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবারও এক ঘটনা। গণধর্ষণের শিকার হলেন একজন ছাত্রী। এরপরেও একজন মুখ্যমন্ত্রী মুখ দেখাতে পারে? এগিয়ে বাংলা বলতে পারেন? ওনার লজ্জা করে না? মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও ওনার দলের পদ নিয়ে, ওনার দলের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে এভাবে শারীরিক শোষণ করবে, এটা রাজ্যের মানুষকে বলে দিতে হবে?’।
উল্লেখ্য, কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ আগেই সামনে এসেছে। এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। গতকাল এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) সহ একাধিক বিজেপি নেতা। এই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেই গতকাল গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সহ একাধিক নেতা। রবিবার লালবাজার থেকে বেরিয়েই সরব হলেন তিনি। ‘জামিন প্রত্যাখান আন্দোলন’ শুরুর ঘোষণা করলেন বালুরঘাটের সাংসদ।