বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বর্তমানে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মঙ্গলবার বাংলার ৫টি আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটের এই আবহেই একটি বিরাট দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মুখে শোনা যায়, বিধানসভা ভোট এগিয়ে আনার কথা।
দিন কয়েক আগেই একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, বাংলায় যদি তৃণমূলের (TMC) থেকে বেশি আসন পায় বিজেপি (BJP), তাহলেও এখনই সরকার ভাঙার কোনও চেষ্টা করা হবে না। যথাসময়েই বিধানসভা নির্বাচন হবে। তবে গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে শোনা গেল, বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Election) এগিয়ে আনার কথা।
সুকান্ত বলেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে একটি আসন বেশি পেলেই রাজ্য সরকারের পতন নিশ্চিত। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘সরকার ভাঙায় বিশ্বাসী নয় বিজেপি। তবে নিজেরা যদি রাখতে না পারে কিংবা পিসি-ভাইপোর মধ্যে যদি ঝগড়া হয়, তাহলে তো সেখানে কিছু করার নেই’।
আরও পড়ুনঃ অভিজিৎ, দেবাংশু নাকি সায়ন, সম্পত্তির নিরিখে এগিয়ে তমলুকের কোন প্রার্থী? সবচেয়ে বড়লোক কে?
উল্লেখ্য, বিহার, মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ সহ দেশের একাধিক রাজ্যে রাতারাতি বিরোধীদের সরকারের পতম এবং বিজেপি সরকারের উত্থানের ছবি দেখা গিয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, সুকান্ত গতকাল যে কথা বলেছেন, সেটা স্রেফ একটি ধারণা বানানোর জন্য। কারণ চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিগত ১০ বছরে মোদী সরকারের সাফল্যকে বিশেষ হাইলাইট করছে না বিজেপি। জাতীয় বিষয়আশয়কেও খুব একটা ইস্যু করা হচ্ছে না।
সেই কারণে অনুমান করা হচ্ছে, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে কাজে লাগাতে চাওয়া হচ্ছে। সেই জন্যই সুকান্ত হয়তো বোঝাতে চাইছেন, এই নির্বাচনও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনাদেশ হয়ে উঠুক।
বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার কথা বলার পাশাপাশি গতকাল সন্দেশখালি ‘স্টিং’ বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত বলেন, ‘সন্দেশখালির ওই ভিডিও ঠিক না। আর তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই ওই ভিডিওটা ঠিক, তাহলেও কিন্তু ব্যাপারটা মিলছে না। ১০০০ মহিলা আদালত এবং সিবিআইয়ের কাছে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে কী ঘটেছে। তাহলে ১০০০ জন মহিলার কথা ধরবেন নাকি ওই একজনের কথা ধরবেন?’