বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল শাহের ডেপুটি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইঁট বৃষ্টি থেকে শুরু করে বোমাবাজির অভিযোগও সামনে উঠে আসে। তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP) সংঘর্ষে হয়ে ওঠে কোচবিহারের দিনহাটা। শনিবার সারাদিন এই ঘটনায় সরগরম ছিল পরিস্থিতি। এই আবহেই রবিবার হামলার প্রসঙ্গ তুলে বিস্ফোরক বিজেপির সুকান্ত।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিজেপির সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বাইরে যান আমরাও কি বোমাবাজি করতে পারিনা? তবে আমরা করিনা। পরিস্থিতি যদি এই ভাবে চলতে থাকে আমরা ৩৫৬-র প্রয়োগ চাইতে বাধ্য হবো। ৩৫৬ ধারা ছাড়া তো এই রাজ্যে শান্তি সম্ভব নয় মনে হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল পুরো ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে নিশীথ সহ রাজ্য বিজেপি। পাশাপাশি ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। হুঙ্কার করে কাল নিশীথ প্রামানিক বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে বুকে গুলি চালাক’। তার অভিযোগ, ‘রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে না পেরেই হিংসার আশ্রয় নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল।
পাশাপাশি তালিবানি কায়দায় নেতা-মন্ত্রীদের ওপর শাসকদল হামলা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগে সরব হয় নিশীথ। যেখানে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের দিকে আঙ্গুল উঠেছে সেখানে হামলার ঘটনায় এদিন দিনহাটায় আঠারোজন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ প্রশাসন।
রবিবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উল্টে নিশীথকেই দুষলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। নিশীথকে ‘গুন্ডা’ আখ্যা দিয়ে উদয়ন বলেন, ‘নিশীথের গুন্ডামির খেসারত দিতে হবে বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।’ শুধু তাই নয়, নিশীথকে ‘সমাজবিরোধী’ থেকে নিয়ে ‘বন্দুকের কারবারী’ বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা। অন্যদিকে, গতকালের হামলার ঘটনায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চান শুভেন্দু অধিকারী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গাড়িতে হামলায় ঘটনায় শাসকদলকে আক্রমণ করে টুইটও করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।