হাসপাতালে শমীক ভট্টাচার্য! রাজ্য সভাপতির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালেন সুকান্ত মজুমদার

Published on:

Published on:

Sukanta Majumdar Visits Hospitalised BJP State President Samik Bhattacharya

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। সোমবার আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে ওইদিন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্বর না কমায় এবং শারীরিক দুর্বলতা বাড়ায় শেষমেশ হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কেমন আছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Samik Bhattacharya)

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিজেপি রাজ্য সভাপতির একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে।

দেখতে গেলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)

বুধবার হাসপাতালে গিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) খোঁজ নেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “শমীকদা এখন অনেকটাই ভালো আছেন। দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

সূত্র অনুযায়ী, ৬২ বছর বয়সী শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) গত কয়েকদিন ধরে জ্বর এবং শরীর খারাপ নিয়েও দলের একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছিলেন। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে তিনি সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে। সেই সময় থেকেই শরীর খারাপ বাড়তে থাকে। তবুও দলের দায়িত্ব থেকে বিরতি নেননি তিনি।

অবশেষে সোমবার সকালে হঠাৎ করে শরীরের দুর্বলতা বেড়ে গেলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাঁর ডেঙ্গি বা অন্য কোনও মশাবাহিত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে অসুস্থতার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

Sukanta Majumdar Visits Hospitalised BJP State President Shamik Bhattacharya

আরও পড়ুনঃ জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya) উপর কাজের চাপ বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। গঠন করছেন নতুন কমিটি, সাংগঠনিক কর্মসূচি দিচ্ছেন একের পর এক। রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘন ঘন যেতে হচ্ছে তাঁকে। এই লাগাতার কর্মব্যস্ততাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই।