“গ্রেপ্তার না হলে, এবার পাল্টা মার হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় সরাসরি হুঁশিয়ারি সুকান্তর

Published on:

Published on:

Sukanta Majumdar warns of action if police fail in North Bengal attack case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পথ এবার এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বুধবার বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদার স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দেন যে, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে। এখনও সময় আছে গ্রেপ্তার করুন। উত্তরবঙ্গে বিজেপির ক্ষমতা আছে।”

‘গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা আমাদের মত ট্রিটমেন্ট দেব’, বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে এসে বলেন, “খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে থেকেছেন। শঙ্কর ঘোষ ছাড়াও যাঁরা ওই দিন গিয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।” সুকান্ত মজুমদার অভিযুক্তদের তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, “যাঁরা আক্রমণ করেছেন, তাঁরা প্রকাশ্যে বলেছেন, আমরা দিদির সৈনিক। শঙ্কর ঘোষ নিজেই আমাকে এ কথা বলেছেন। পুলিশ যদি এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, আমরা আমাদের মতো ট্রিটমেন্ট দেব।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই খগেন মুর্মুকে শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে দেখতে যান তিনি শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক তার আগে ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু সাংবাদিকদের সামনে সরাসরি শাসকদল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি ডিজিপি রাজীব কুমারকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “ছাব্বিশে এই রক্তের বদলা হবে সুদ সমেত। বাংলার উসুল হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা হবে। জলপাইগুড়ির এসপি, ডিজিপি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। স্পিকারের কল আসবে।”

Sukanta Majumder warns of action if police fail in North Bengal attack case

আরও পড়ুনঃ পুলিশের চোখের সামনে তৃণমূল অফিসে হামলা! ত্রিপুরায় ছুটলেন কুণাল-সায়নীরা

প্রসঙ্গত নাগরাকাটায় সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির। প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী এবং তারপরে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্যে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তাই এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে লোকসভার স্পিকার ওমপ্রকাশ বিড়লা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন, দ্রুত রিপোর্ট না দিলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।