শুধু শিক্ষকতা বা ব্যবসাই নয়, নাচেও পারদর্শী ছিলেন অনুব্রত কন্যা! ভাইরাল সুকন্যার ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” তথা তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী নেতা অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mandal)। পাশাপাশি, তাঁকে গ্রেফতারের পরই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু তাই নয়, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর লাইমলাইটে উঠে এসেছেন তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। এমনিতেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকলেও সুকন্যার নামে এবার একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে।

টেট পাশ না করেই নাকি অনুব্রতকন্যা সুকন্যা বাড়ির ঠিক কাছেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন! শুধু তাই নয়, রীতিমতো বাড়িতে বসেই বেতন পেতেন সুকন্যা মণ্ডল! একদিনের জন্যেও স্কুলে যাননি তিনি। পাশাপাশি, শোনা গিয়েছে, তাঁর স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য বাড়িতেই পৌঁছে যেত রেজিস্টার খাতা। এমতাবস্থায়, একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সুকন্যাকে সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায়, এই বিতর্কের মাঝেই নতুন করে সুকন্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। মূলত, ওই ভাইরাল ভিডিওটিতে জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত “বড়লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল”-গানের রিমিক্স ভার্সানে নাচতে দেখা যায় সুকন্যাকে। পাশাপাশি, তাঁর সেই নাচের দৃশ্য তিনি শেয়ারও করেন সামাজিক মাধ্যমে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, নীল শাড়ি পড়ে বাড়ির মধ্যেই “বড়লোকের বিটি” গানটির নতুন ভার্সানটিতে নাচ করছেন সুকন্যা। ২০২০ সালের ১০ জুন ফেসবুকে তিনি তাঁর প্রোফাইলে এই নাচের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। এদিকে, সুকন্যার এই নাচের ভিডিওই এখন তোলপাড় করে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। পাশাপাশি, বিভিন্নরকম মন্তব্যও মিলছে নেটিজেনদের কাছ থেকে। এছাড়াও, যেভাবে অনুব্রত মন্ডলের বিপুল সম্পদের হদিশ মিলেছে তাতে যে নিঃসন্দেহে সুকন্যাকে “বড়লোকের বিটি” বলাই যায় তাও জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুকন্যার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আরও একটি তথ্য নজরে এসেছে। অনুব্রতকন্যার ফেসবুকে অনুযায়ী জানা গিয়েছে, তিনি একই সাথে একাধিক জায়গায় কর্মরত ছিলেন। একবার লেখা হয়েছে, “সেলফ এমপ্লয়েড অ্যাট ভোলে বোম রাইস মিল”। পাশাপাশি, আরেকবার উল্লেখ করা হয়েছে, “সেলফ এমপ্লয়েড অ্যাট ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন।” এমনকি, দু’টি ক্ষেত্রেই যোগদানের তারিখ হল ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল। এমতাবস্থায়, এই ঘটনাতেও খটকা লাগছে সবার।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর