বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: জন্মানোর পর থেকেই যে রকেটের গতিতে তাদের উত্থান হয়েছিল তা যেন গত দুই মরশুমে একটু থমকে গিয়েছিল। কিন্তু এই বছর ফের যেন স্বমহিমায় ফিরেছে বেঙ্গালুরু এফসি। আই লিগ, আইএসএল, সুপার কাপের পর এবার ডুরান্ড কাপ ও নিজেদের ট্রফির রুমে তুললো সুনীল ছেত্রীরা।
ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বাই সিটি এফসির। গত কয়েক মরশুমে যে দল দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। ডুরান্ড কাপেও ইস্টবেঙ্গল, এটিকে মোহনবাগান, রাজস্থান ইউনাইটেডের মত বড় টিম সমৃদ্ধ গ্রুপ থেকে প্রথম হয়ে নক আউট স্টেজে পৌঁছেছিল মুম্বাই। আজকের ম্যাচেও খাতায়-কলমে তারাই কিছুটা এগিয়ে ছিল কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় হল বেঙ্গালুরুর।
প্রথমার্ধে শুরুর দিকে দাপট দেখাচ্ছিলো মুম্বাই সিটি এফসিই। কিন্তু খেলার গতির বিরুদ্ধে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন শিবশক্তি নারায়ানান। কিন্তু তাতে দমে যায়নি মুম্বাই। বেঙ্গালুরু ডিফেন্সকে নিজেদের মুহুর্মুহু আক্রমণের মধ্য দিয়ে বেশ কিছুটা চাপে ফেলে দিয়েছিল মুম্বাই সিটি এফসি।
শেষপর্যন্ত মুম্বাই সমতায় ফিরেছিলেন প্রথমার্ধেই। মুম্বাইয়ের তারকা বিদেশি গ্রেগ স্টুয়ার্টের একটি শট ৩০ মিনিট নাগাদ বাঁচান গুড়প্রিত, কিন্তু লুজ বল ধরে গোল করে অপুইয়া দলকে সমতায় ফেরান। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ ফলেই। দ্বিতীয়ার্ধ সন্দেশ ঝিঙ্গান দের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন মুম্বাই আক্রমণকারীরা। এটিকে মোহনবাগান ছেড়ে চলতি মরশুমে সুনীল ছেত্রীদের দলে যোগ দেওয়ার সন্দেশকে দেখে কিছুটা ফিকে মনে হয়েছে। মুম্বাইয়ের আলবার্তো নগুয়েরার শট একবার পোস্টে লেগে ফিরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সাথ দেয় বেঙ্গালুরুর। ৬১ মিনিটে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর দুরন্ত কর্নার থেকে অসাধারণ হেডে গোল করে বেঙ্গালুরু কে ম্যাচ জিতিয়ে দেন অ্যালান কোস্তা।
আজ জিতে সুনীল ছেত্রী জানিয়েছেন যে তিনি অত্যন্ত খুশী। এই একটা মাত্র ট্রফি তিনি কোনদিনও জিততে পারেননি। তিনি অংশগ্রহণ করারই সুযোগ পাননি এতদিন। তার ওপর গোটা দলে অনেকেই নতুন। নতুন কোচ, কিছু নতুন খেলোয়াড় নিয়েও যে এই ট্রফি জিততে পেরেছে বেঙ্গালুরু তা অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক বলে জানিয়েছেন দলের অধিনায়ক।