বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। এশিয়া কাপে জয় দিয়ে নিজেদের অভিযান শুরু করতে পেরে সন্তুষ্ট রোহিত শর্মা। জয়ের নায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার পাশাপাশি বোলারদেরও তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। গোটা ভারত ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই জয়ে খুশি। কিন্তু এই জয়ের ফলে সন্তুষ্ট হতে পারেননি একজন ভারতীয়। তিনি হলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। ভারতকে এই ম্যাচ জিততে গিয়ে যেরকম বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল তাতেই অসন্তুষ্ট এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।
ভারতীয় বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের দৌলতে ইফতিকার আহমেদ এবং মহম্মদ রিজওয়ানের মত ক্রিকেটাররা সেট হয়ে যাওয়ার পরেও পাকিস্তানকে দেড়শো রানের কমে আটকানো গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও ব্যাট করতে নামা পর ভারত বেশ কিছুটা বেকায়দায় পড়ে গেছিল। প্রথম ওভারেই লোকেশ রাহুলের উইকেট হারানোর পর রোহিত শর্মা চাপে পড়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কোনো রান করতে পারেননি। কোহলি কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পান এবং তারপর থেকে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি পুরনো ছন্দে রয়েছেন।
যখন প্রথম ওভারেই রাহুল আউট হন তখন অনেকেই আশা করেছিলেন বিরাট-রোহিত জুটি ভারতকে জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু মাঝে মাত্র ৬ বলের ব্যবধানে দুজনেই উইকেট দিয়ে আসেন পাকিস্তানি স্পিনার মহম্মদ নওয়াজকে। তখন ভারতের রানরেটের অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্গী ছিল। তার ওপর পরপর দুই তারকা ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলায় বাকি ব্যাটারদের ওপর পর্বতপ্রমাণ চাপের সৃষ্টি হয়েছিল।
আর ঠিক এই জায়গাতেই নিজের আপত্তি প্রকাশ করেছেন সুনীল গাভাস্কার। নামাজের ওভারের শুরুতেই রোহিত বড় শট মারতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা পান। সেই ওভারেই একটি ছক্কাও তারপর মেরেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। তিনি শুরু থেকেই অত্যন্ত ধীরগতিতে ব্যাটিং করছিলেন। ফলে তার ওপর চাপ তৈরি হচ্ছিল। একটি বড়সড় আসার পরেও ওই একই ওভারে আবারো একটি বড়সড় খেলতে গিয়ে লং-অফে ধরা পড়েন হিটম্যান।
এই সময় চার নম্বরে সূর্যকুমার যাদবের পরিবর্তে রবীন্দ্র জাদেজাকে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্যটা একদমই পরিষ্কার ছিল যে কোহলি ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আর জাদেজা বড় শট খেলে রানের গতিকে বৃদ্ধি করবেন। কিন্তু মোহাম্মদ নেওয়াজ এর পরের ওভারেই কোহলি দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত বড় শট খেলতে গিয়ে নিজের উইকেটটা দিয়ে বসেন। আর এই নিয়েই চটেছেন সুনীল গাভাস্কার।
ম্যাচ শেষে সুনীল গাভাস্কার বলেন, “কোহলি আর রোহিত দুজনের কাছেই সুযোগ ছিল যে ওরা ভারতকে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে আসুক। ধীরগতিতে হলেও রান আসছিল। দুজনেই যখন বড়সৎ খেলেছে তখন ওই রকম শটের কোন প্রয়োজন ছিল না। ওদের অন্তত ৭০-৮০ রান পর্যন্ত সাবধানে ব্যাটিং করা উচিত ছিল। আর কতদিন ওরা এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন ক্রিকেট খেলবে। কাল কোহলি ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছে। কিন্তু তারপরও বড় রান করতে ব্যর্থ হলো। আমার মতে হংকং-এর বিরুদ্ধে দু’জনকেই একাদশ থেকে বাদ দিয়ে হার্দিককে অধিনায়ক করে নতুনদের নিয়ে দল নামানো উচিত রাহুল দ্রাবিড়ের।”