বাংলা হান্ট ডেস্ক : অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে অযোধ্যা মামলার সমস্ত শুনানি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর, তাঁর নির্দেশ মেনেই 16 অক্টোবর তারিখে সমস্ত শুনানি শেষ করা হয় অবশেষে শনিবার অর্থাত্ 9 নভেম্বর তারিখে অযোধ্যা মামলার(ayodhya case) রায় দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত 2.77 একর জমির ওপর হিন্দুদের রাম মন্দির স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং অন্যদিকে মুসলিমদের মসজিদ(masjeed) নির্মাণের জন্য অযোধ্যা লাগোয়া পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়েছে, যদিও সন্তুষ্ট নয় তবুও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফ থেকে অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷
তবে এ বার যে পাঁচ একর জমি মসজিদ নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়েছে তা সরকারের কাছ থেকে আদৌ নেওয়া হবে কি না? সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল তবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে 26 নভেম্বরের একটি বৈঠকের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়ে দিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড৷
যেহেতু ওই জমি নেওয়া যাবে কি না তা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে তাই উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকি সংবাদ সংস্থাকে 26 নভেম্বরের বৈঠকের কথা জানিয়েছে এবং ওই বৈঠকের মাধ্যমে জমি নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলেও জানিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, পাঁচ একর জমি নেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন দেশের রাজনীতিবিদরা৷
হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ইতিমধ্যেই পাঁচ একর জমি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মতে না নেওয়াই উচিত বলে জানিয়েছেন৷