‘চন্দ্রযান ৩’ সফল হতেই কপাল খুলে গেল, এক লাফে কোটিপতি হলেন ৬০ বছরের প্রৌঢ়! জানুন কিভাবে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মহাকাশ বিজ্ঞানে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর সফল অবতরণ নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। গোটা বিশ্বজুড়েই শুরু হয়েছে ভারতের (India) জয়জয়কার। তবে কেবল যে ভারতের জয়জয়কার শুরু হয়েছে তাই নয়, ইসরোর (ISRO) এই সাফল্য রমেশ কুনহিকান্নানের (Ramesh Kunhikannan) বাড়িতেও ধন লক্ষ্মীকে ডেকে এনেছে। কে এই ব্যক্তি? চন্দ্রযানের সফল অভিযানের সাথে তার আর্থিক অবস্থারই বা কী সম্পর্ক?

Why is Chandrayaan's lander named "Vikram"

কে এই রমেশ কুনহিকান্নান?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রমেশ কুনহিকান্নান হলেন মাইসোরের কেইনস টেকনোলজির ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার ও প্রতিষ্ঠাতা। ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চন্দ্রযান ৩ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সমস্ত যন্ত্রপাতি তৈরির বরাত পেয়েছিল এই কোম্পানি। প্রয়োজনীয় সমস্ত ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিল সংস্থাটি। রোভার এবং ল্যান্ডারে যা যা সরঞ্জাম রয়েছে সবই তার কোম্পানির তৈরি।

আরও পড়ুন :

মাত্র ১০ মাসে শেয়ার বেড়েছে তিনগুণ

চন্দ্রযান ৩ এর সফল অবতরণ এবং বিক্রম ও প্রজ্ঞানের সফল অভিযানের পর থেকেই চর্চায় চলে এসেছেন বছর ষাটের ঐ ইঞ্জিনিয়ার। রাতারাতি বেড়ে গেছে Kaynes Technology ltd শেয়ার। সূত্রের খবর, মাত্র ১০ মাসের মধ্যে শেয়ার বেড়ে তিনগুণ হয়ে গেছে‌। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে প্রায় ৬৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন :

কী বলছেন রমেশ কুনহিকান্নান?

উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারিতে এই কোম্পানির স্টক বিক্রি হত প্রায় ৭৫০-৮০০ টাকায়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই স্টকের দামই প্রায় ২৪৫০ টাকা। দীর্ঘ ৩৩ বছরের কেরিয়ারে এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই দারুন খুশি হয়েছেন তিনি। রমেশ কুনহিকান্নানের কথায়, ‘চন্দ্রযান ৩ মিশনের অনেক আগে থেকে ইসরোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। আমরা ইসরোকে নানা যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে থাকি। আমরা আগামীদিনেও এই ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারলে ধন্য মনে করব।’

image04kd 1700864861117

‘চন্দ্রযান ৩’-র সাফল্যের অংশীদার কেইনস টেকনোলজিও

পাশাপাশি এইদিন প্রেস মিটে তিনি আরও বলেন, ‘আমরাও ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির গর্বিত অংশীদার।’ যদিও তার এই দাবিতে কোনও ভুল নেই। যথার্থই তার কোম্পানি এই মিশনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার কোম্পানির যন্ত্রপাতি ভরসা রেখেছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। মান রেখেছে ভারতের। তাই এই সাফল্য এবং সম্মান তো রমেশ কুনহিকান্নানের তো বটেই।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর