বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬ হাজার চাকরিহারার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নতুন নিয়োগ পরীক্ষার উপর। একাধিকবার চাকরিহারা শিক্ষকেরা পরীক্ষা না দেওয়ার আর্জি জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর SSC-র পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও, বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পরীক্ষার দিন পিছোতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
পরীক্ষার দিন পিছোতে পারে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
চাকরিহারাদের একাংশ দাবি করেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন, তাই ফর্ম ফিল আপ করেননি। আদালত সেই যুক্তি মেনে জানায়, অযোগ্য বাদে বাকি সকলকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য যাঁরা আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের আবেদনের জন্য আরও ১০ দিনের সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রয়োজনে পরীক্ষার দিনও পিছোতে পারে, এমনটাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্নাতকস্তরে ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল ৪৫ শতাংশ। এবার সেটি বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বহু চাকরিহারা বাদ পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এ নিয়ে আদালতে অভিযোগ তোলা হলে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দেয়, যোগ্য চাকরিহারাদের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ নম্বরই প্রযোজ্য হবে।
SSC-র সিদ্ধান্তে আদালতের স্পষ্ট বার্তা
শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য ও SSC চাইলে পরীক্ষা পিছোতে পারে। তবে যোগ্য চাকরিহারাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ নিশ্চিত করতেই হবে। ফলে চাকরিহারারা সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মদ-সিগারেট-ফাস্ট ফুডে করের কোপ! রাজস্ব ক্ষতি নিয়ে আশঙ্কা রাজ্যের, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ নতুন GST কাঠামো?
প্রসঙ্গত, চাকরিহারাদের দাবি ও রাজ্যের আপত্তির মাঝে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই রায় চাকরি হারা শিক্ষকদের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষা যদি পিছিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে যারা এখনো অব্দি আবেদন করেনি তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলে আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদনের সুযোগ পাবে। এই সবকিছুর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের একটাই স্পষ্ট বার্তা, সেটা হল, ২৬ হাজার চাকরিহারা শিক্ষকেরা যেন পরীক্ষা বসে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ পায়।