বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রশ্ন মুখে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate l)। আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশ যাত্রা করে নির্দিষ্ট সময় তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। তা সত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কেন লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে? তাঁকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হল, তা নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে ইডি। এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেননি ইডির আইনজীবীরা। জবাব দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। সেই প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে বিদেশযাত্রা করে নির্দিষ্ট সময়ে ফিরে এসেছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও কেন রুজিরার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হল? প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের। অভিষেকপত্নীর পরিবার বিদেশে থাকে। সেই বিষয়টিও এদিন আদালতে তুলে ধরা হয়েছিল।
কয়লা কাণ্ডে ইডি-র মামলায় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি রয়েছে। ৫ জুন কলকাতা বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকানো হয়। সেখানে রুজিরাকে ইডি-র তরফে নোটিস ধরানো হয়। তাঁকে ফের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়। কলকাতা বিমানবন্দরে ক্লিয়ারেন্সের জন্য অভিবাসন দফতরে গেলে জানানো হয়, রুজিরার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি থাকলে, সেই ব্যক্তি দেশ ছাড়তে চাইলে, অভিবাসন দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে। সেই মতো রুজিরার ক্ষেত্রে অভিবাসন দফতরের তরফে ইডিকে জানানো হয়েছিল। তারপরও কেন আটকানো হয়, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রুজিরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল।
আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানান, আদালতের নির্দেশ দিয়েই রুজিরা বিদেশ যাচ্ছিলেন। এর আগেও গিয়েছেন। তবে কেন তাঁকে আটকানো হল? এর প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালত ইডি-র আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, লুক আউট নোটিস জারি করার প্রয়োজনীয়তা কেন হল? কারণ রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশে যাওয়ার পরও নির্দিষ্ট সময়ে দেশে ফেরত এসেছেন। অর্থাৎ তাঁরা কথার খেলাপ করেননি। সেক্ষেত্রে নতুন করে কেন লুক আউট নোটিস জারি করা হল?
এর পরই আইনজীবী সিব্বল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টিও আদালতে তুলে ধরেন। তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য ২৬ জুলাই বিদেশ যেতে চান অভিষেক। ৮ অগস্ট অপারেশনের জন্য বিদেশে তাঁর ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ রয়েছে। এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত। জবাব দেওয়ার জন্য কয়েকদিন সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। অর্থাৎ এদিন সওয়াল জবাবের সময়ে রুজিরা বিমানবন্দরে আটকানোর বিষয়ে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হয় ইডিকে। পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।