হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বড় বয়ান সুপ্রিম কোর্টের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হিন্দুদের সংখ্যালঘুর (Minority Hindu) মর্যাদা দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ক্ষমতার আওতায় পড়ে না। মঙ্গলবার একটি শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করল বিচারপতি উদয় ইউ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের ডিভিশন বেঞ্চ। যেসব রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যা কম, সেখানে তাদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া হোক। এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন ওই করল ভারতের শীর্ষ আদালত।

১৯৫৭ সালের কেরল শিক্ষা বিল মামলার প্রসঙ্গ এনে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যভিত্তিক সমীক্ষা করে এই মর্যাদা দেওয়া উচিত। পাশাপাশি ওই সমস্ত রাজ্যে হিন্দুরা তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তার প্রমাণও পেশ করা বাঞ্ছনীয় বলে রায় দেয় আদালত।

জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, লাক্ষাদ্বীপ ও পাঞ্জাবে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তারপরও তারা সংখ্যালঘুদের জন্য নির্দিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পায় না। এই দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী ও বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। মামলাকারীরা জানান, লাদাখে (Ladakh) মাত্র ১ শতাংশ মানুষ হিন্দু, মিজোরামে হিন্দুদের সংখ্যা ২.৭৫ শতাংশ, লাক্ষাদ্বীপে হিন্দু ২.৭৭ শতাংশ, কাশ্মীরে ৪ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৮.৭ শতাংশ, মেঘালয়ে ১১.৫২ শতাংশ, অরুণাচলে ২৯ শতাংশ এবং পাঞ্জাবে ৪১.২৯ শতাংশ। কিন্তু এই রাজ্যগুলিতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু তকমা পাননা। তেমনই বঞ্চিত হন বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও।

হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা পাওয়ার বিষয়ে রাজ্যের উপরই দায়িত্ব ছেড়ে দেয় কেন্দ্র সরকার। গত ২৮ মার্চ ভারতীয় সংবিধানের ২৯ ও ৩০ নম্বর ধারা অবলম্বন করে কেন্দ্র বলে, কোনও সম্প্রদায় বা ভাষার গোষ্ঠী সংখ্যালঘু কি না, তা নির্ধারিত হয় রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে। তাই যে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে তাঁদের এই হিসাবে চিহ্নিত করতেই পারে ওই রাজ্যের প্রশাসনই।

ad

Sudipto

সম্পর্কিত খবর