বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপাড়ার আইকনিক হিন্দমোটর কারখানার ৩৯৫ একর জমি নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। একসময় অ্যাম্বাসাডর গাড়ি তৈরি হত এই জমিতেই। প্রায় এক দশক ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সেই জমি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে ২০২২ সালে। তার পর থেকেই হিন্দমোটর মামলা চালায় রাজ্যের বিরুদ্ধে। তবে বুধবার সেই বিতর্কে ইতি টানল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। জানিয়ে দিল, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তই আইনি ও যুক্তিসঙ্গত।
টানা মামলার পরে রাজ্যের জয়
প্রথমে রাজ্যের অধিগ্রহণ চ্যালেঞ্জ করে হিন্দমোটর ল্যান্ড ট্রাইব্যুনালে যায়, যেখানে রায় রাজ্যের পক্ষেই যায়। এরপর তারা কলকাতা হাইকোর্টে যায়। সেখানেও একই রায়। সবশেষে, সুপ্রিম কোর্টে যায় হিন্দমোটর। শীর্ষ আদালতে আজ বিচারপতি বিভি নাগারত্না ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানায়, হাইকোর্টের রায় খারিজ করার কোনও যুক্তি নেই। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ও রাকেশ দ্বিবেদী। অন্যদিকে, হিন্দমোটরের পক্ষে ছিলেন শ্যাম দেওয়ান।
তৃতীয় পক্ষ হিসেবে এই মামলায় নাম উঠে এসেছে টিটাগড় ওয়াগনের। সম্প্রতি রাজ্য সরকার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দিয়ে হিন্দমোটরের জমির একাংশ টিটাগড় ওয়াগনকে লিজে দেয়। সংস্থার উদ্দেশ্য, মেট্রো ও বন্দে ভারতের কোচ নির্মাণের জন্য কারখানা সম্প্রসারণ।
আরও পড়ুনঃ শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুরে মোদির সভা, মঞ্চে থাকবেন মিঠুন, আর কারা থাকছেন?
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, West Bengal Estate Acquisition Act, Section 6(3) অনুযায়ী যদি কোনও সংস্থা শিল্প গড়ার উদ্দেশ্যে জমি নেয়, কিন্তু দীর্ঘদিন কিছু না করে ফেলে রাখে, তাহলে সরকার সেই জমি ফের অধিগ্রহণ করতে পারে।