বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের দরিদ্র বিচারাধীন বন্দিদের স্বার্থে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, যদি কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয় এবং তিনি বিচারাধীন প্রক্রিয়ার মধ্যেও নিজের জামিনের জন্য পর্যাপ্ত টাকাপয়সা না রাখতে পারেন, তাহলে সরকার তাঁকে অর্থিকভাবে সাহায্য করবে।
নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরী করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
এই প্রসঙ্গে নয়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং এস সি শর্মার বেঞ্চ। নতুন এসওপি প্রণয়নে অ্যামিকাস কিউরি, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ লুথরা এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটির পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র মারফত খবর, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা গ্রহণ করেছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, জেলা আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (ডিএলএসএ) দরিদ্র বন্দিদের কারাগার মুক্তির জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামিনদার-পরিমাণ পূরণ করতে পারে। যদি ট্রায়াল কোর্ট ১ লক্ষ টাকার বেশি নির্ধারণ করে, তাহলে তা কমানোর জন্য আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
নতুন নির্দেশিকার অনুযায়ী, বেঞ্চ জানিয়েছে যে জামিন মঞ্জুর হওয়ার সাত দিনের মধ্যে যদি কোনও বিচারাধীন বন্দি জেল থেকে মুক্তি না পান, তাহলে জেল কর্তৃপক্ষ ডিএলএসএ সচিবকে বিষয়টি জানাবে। সচিব তাৎক্ষণিকভাবে একজন ব্যক্তিকে নিযুক্ত করবেন বিষয়টি দেখভালের জন্য। তিনি খতিয়ে দেখবেন জেল-মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে রয়েছে কি না।
আরও পড়ুনঃ “প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাব”, তৎপর দেব, কি নিয়ে চিন্তা তৃণমূল সাংসদের?
শীর্ষ আদালত (Supreme Court) আরও জানিয়েছে যে, যদি অভিযুক্তের কাছে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে, তাহলে জেলা পর্যায়ের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি রিপোর্ট প্রাপ্তির ৫ দিনের মধ্যে ডিএলএসএ-এর সুপারিশ অনুসারে জামিনের তহবিল মুক্তির নির্দেশ দেবে। এছাড়া, যেসব ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটি সুপারিশ করে যে বিচারাধীন বন্দিকে ‘দরিদ্র বন্দিদের সহায়তা প্রকল্প’-এর অধীনে আর্থিক সহায়তার সুবিধা দেওয়া হবে, সেক্ষেত্রে একজন বন্দির জন্য প্রতি মামলায় ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অর্থ নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদালতে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। নতুন এই নির্দেশনা দেশের দরিদ্র বিচারাধীন বন্দিদের জন্য এক বড় সুরক্ষা ও সহায়তার ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।