চরম উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও স্বস্তিতে মমতা! এল বড় ‘সুসংবাদ’

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করে দুর্নীতি করেছিল মন্ত্রীসভা? এই নিয়ে হাইকোর্টের CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। গত বছর এপ্রিল মাসে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির নির্দেশ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রশিদের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, মন্ত্রিসভার অনুমোদনে যে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি হয়েছিল তাতে কার কার অনুমোদন ছিল, প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে CBI।

স্বস্তিতে মমতার মন্ত্রীসভা- Supreme Court

এর আগে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আজ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের যে নির্দেশ ছিল তা খারিজ করা হচ্ছে। এরফলে চূড়ান্ত ‘উত্তপ্ত’ পরিস্থিতিতেও স্বস্তি পেল মমতা সরকার। এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির সময় বলা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ের উপর সবটা নির্ভর করবে। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদনও নেওয়া হয়েছিল।

প্রধান বিচারপতি জানান, SSC জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভার বিজ্ঞপ্তিতেও একই কথা বলা হয়। তাহলে এই অতিরিক্ত শূন্যপদকে বেআইনি কেন বলা হচ্ছে? প্রশ্ন চিফ জাস্টিসের। আগের রায়ের কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ওয়েট লিস্টে থাকা প্রার্থীদের জায়গা দেওয়ার জন্যই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়। SSC অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সুপারিশ করে। রাজ্যের মন্ত্রিসভা সেই মত বিজ্ঞপ্তি তৈরি করতে পারে।কোনো ক্ষেত্রেই নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি।

Supreme Court judges to make their assets public

প্রধান বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টে যখন মামলা দায়ের হয় তখন কেউ মন্ত্রিসভার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে CBI তদন্তের দাবি জানাননি। তারপরই হাইকোর্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় সেই প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ‘রাজ্য মন্ত্রিসভার কিছু স্বতন্ত্র ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মন্ত্রিসভার সব সিদ্ধান্তকে এভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় না।’

প্রসঙ্গত, এসএসসিতে নিয়োগের জন্য প্রায় ছ’ হাজার সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা যায়। সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সংক্রান্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, যারা অতিরিক্ত পদ তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছর এপ্রিল মাসে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রশিদির বেঞ্চ চাকরি বাতিল করে রায় দেয়, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে।

আরও পড়ুন: জেলবন্দি হলেও দাপট কমেনি? পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’দেরই বেহালা পশ্চিমের ওয়ার্ড সভাপতি করল তৃণমূল

পরে সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় এসএসসি, রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি অফিসার বা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে পারবে না সিবিআই। এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X