বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড় স্বস্তি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তবে তা পেল না মামলাকারী সংগঠন। অবমাননার মামলাকে গুরুত্বই দিতে চাননি অ্যাটর্নি জেনারেল।
২৬০০০ ইস্যু: স্বস্তিতে মমতা | Mamata Banerjee
সূত্রের খবর, পরবর্তীতে মামলাকারী সংগঠন মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। পরে সংগঠনের আবেদনে অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার এই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে ‘আত্মদীপ’ নামে একটি সংগঠন।
কিছুমাস আগে এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেই সময় মামলা কিছুদিনের জন্য মুলতুবি রাখার আর্জি জানানো হয় সংগঠনের তরফে। সেই সময় পাল্টা প্রধান বিচারপতির ধমকের মুখে পড়েন মামলাকারীর আইনজীবী।
মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বিআর গবই বলেছিলেন, ‘‘রাজনৈতিক যুদ্ধ অন্য কোথাও করুন। কোর্টকে রাজনীতিকরণ করবেন না।’’ প্রসঙ্গত, মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি মামলার রায় নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়েই দায়ের হয়েছিল মামলা।
প্রসঙ্গত, নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর সেই চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য, এসএসসি। তবে শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে। এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন শোভন, ফের দলে ফেরার পথে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র?
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের চাকরি চলে যায়। এই রায় নিয়ে সেইসময় সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ ওঠে, সেই দিন মামলার রায় এবং বিচারপতি সম্পর্কে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন মমতা। এই নিয়েই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু তাতে অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি মিলল না। উল্লেখ্য, সুপ্রিম নির্দেশ মতো বর্তমানে ফের একবার পরীক্ষা নিয়ে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের চাকরি ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে রাজ্যে।