বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত। গত মঙ্গলবার শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই সঙ্গেই সন্দেশখালিতে ইডি পেটানোর ঘটনার তদন্তভারও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার রায় দেওয়া হয়। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) এই দুই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বহাল থাকল হাই কোর্টের এই দুই রায়।
তবে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের কিছু অংশ বদল করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, হাই কোর্টের রায়ে রাজ্য এবং পুলিশ সম্পর্কে যে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে তা বাদ দিতে হবে। গত মঙ্গলবার তথা ৫ মার্চ কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মঙ্গল বিকেলের মধ্যেই সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেদিনই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তবে শুনানি হয়নি। ৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাজ্য যদি চায় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির কাছে যেতে পারে। এরপর সেদিন বিকেলেই শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় সিবিআই (CBI)। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট যা রায় দিয়েছে সেটাই বহাল থাকবে। অর্থাৎ শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের ফলে সন্দেশখালির ‘বাঘ’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতেই থাকবে এবং ইডি (ED) আধিকারিকদের ওপর হামলার তদন্তও করবে তারা।
আরও পড়ুনঃ মারাত্মক অভিযোগ! এবার এই তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দিল CBI, শোরগোল রাজ্যে
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) সন্দেশখালির সড়বেড়িয়ার শেখ শাহজাহানের বাড়িতে উপস্থিত হন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে উত্তেজিত জনতার হামলা মুখে পড়েন তাঁরা। গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন ইডি আধিকারিক। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁদের। সেই সঙ্গেই তাঁদের কাছে যে ল্যাপটপ, নগদ টাকা, ফোন ছিল সেগুলিও কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার পর ন্যাজাট থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। অন্যদিকে সেই একই থানাতেই একটি মামলা দায়ের করে ইডিও।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ এই দুই মামলার মধ্যে পরস্পরবিরোধিতা পায়। নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য পুলিশ এবং ও সিবিআই সিট গঠন করে যৌথভাবে তদন্ত করবে। তবে ইডি সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যায়। একইভাবে রাজ্যও ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিট তৈরি ও তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এরপর ৫ মার্চ কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত।