বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তিনি। মাসখানেক আগে সিজেআইয়ের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। এরপর থেকে তাঁকে নিয়ে চলছে একাধিক জল্পনা কল্পনা। এদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে এবার কোন দায়িত্বে দেখা যাবে তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি নিজে।
নতুন দায়িত্বে দেখা যাবে চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud)?
কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাকি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে। গত জুন মাস থেকে এই পদটি ফাঁকা রয়েছে। এবার সেখানেই নাকি চন্দ্রচূড়কে বসাতে চান পিএম মোদী। সম্প্রতি এমনই কানাঘুষো শোনা যায়। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন সিজেআই নিজে।
চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) এই জল্পনায় ইতি টেনে বলেন, ‘এটা স্রেফ গুঞ্জন। আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি। আমি এখন একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে নিজের অবসর জীবন উপভোগ করছি’। অর্থাৎ এই জল্পনায় যে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই, সেটা এদিন পরিষ্কার করে দেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ নববর্ষের উপহার! এই প্রকল্পে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য! ধন্য ধন্য করছে সকলে
উল্লেখ্য, গত ১ জুন থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদটি ফাঁকা। এর আগে এই পদে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র। জানা যায়, এবার এই শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। সেই কারণে গত বুধবার চার সদস্যের নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির একটি বৈঠক হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাকি তিন সদস্য হলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে চন্দ্রচূড়কে দেখতে চান। তবে তাতে নাকি আপত্তি জানান রাহুল এবং খাড়্গে। তবে এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিলেন, তাঁকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে যে চর্চা চলছে, তা নেহাতই গুঞ্জন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিজয়া ভারতী সায়ানি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এই পদে সাধারণত সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অথবা বিচারপতিদের নিয়োগ করা হয়। আগামীদিনে চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud) এই পদে দেখা যাবে কিনা সেটা সময়ই বলবে। তবে বর্তমানে যে চর্চা চলছে সেটা নিছকই ‘গুঞ্জন’ বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।