বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এক সরকারি কর্মীর অবসরকালীন প্রাপ্য (Employee’s retirement entitlement) মামলায় রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও পাওনা না মিটিয়ে উল্টে দেরিতে ‘ভিত্তিহীন মামলা’ করায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে (West Bengal State Government) দশ লক্ষ টাকা জরিমানা করল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতার একটি বেঞ্চ।
কি নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে? Supreme Court
২০০৭ সাল থেকে অবসরকালীন পাওনা পাওয়ার জন্য আবেদন করে চলেছেন আবেদনকারী। তার আগে ১৯৮৯ সালে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। এরপর তদন্ত শুরু হয়। ১৯৯৪ সালে আবেদনকারী নির্দোষ বলে প্রমাণিত হন। এরপর ১৯৯৭ সালে ফের বিপত্তি। কেন সাজা দেওয়া হবে না বলে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় তাকে।
আবেদনকারীর দাবি, তিনি সেই নোটিসের জবাব দিলেও সরকার প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এরপর ২০০৭ সালে অবসর নেওয়ার তিন বছর বাদে ফের তাকে দ্বিতীয় বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।
হাইকোর্টে মামলা উঠলে দ্বিতীয়বারের মত তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। রাজ্য যাতে অবিলম্বে তার পাওনা মিটিয়ে দেয় সেই নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এদিকে সেই রায় ঘোষণার ৩৯১ দিন পর রাজ্য পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে রীতিমতো রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করা হয়। রাজ্যের আবেদনকে অযৌক্তিক এবং বিরক্তিকর বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।
কেন অবসর গ্রহণের পরে, প্রথম নোটিশের মত একই অভিযোগ রাজ্য আনল তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলে, ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও একজন পেনশন পাচ্ছেন না, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। উল্লেখ্য, আবেদনকারী কেবল প্রভিশনাল পেনশন পাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ট্যাংরাকাণ্ডে নতুন মোড়! ‘মেরে ফেলেছে মেয়েকে’, খুনের মামলা রুজু করল পরিবার
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীর যাবতীয় অবসরকালীন পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে। একইসাথে জরিমানার ১০ লক্ষ টাকাও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। (Supreme Court)